ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ
প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে তুলে তার রিমান্ডের এই আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে তার কলাবাগানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় এক তরুণীর করা নারী নির্যাতন মামলায় শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এর আগে যৌন হয়রানির অভিযোগে এই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সোমবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডি বিষয়টি নিয়ে এক অনলাইন সভা ডাকে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির একজন সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইসঙ্গে অধিকতর তদন্তের জন্য তিনি কমিটি গঠন করে দেবেন বলে জানিয়েছেন, সেখানে স্কুলের কেউই থাকবে না।
সভায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সব সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এর আগে গত শনিবার অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ওই ক্যাম্পাস থেকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। সংযুক্ত করার বিষয়ে অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ জন্য শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এবং এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ওই শিক্ষককে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আসছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। এই দাবিতে ছাত্রীরা রবিবার আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। একই দিনে অভিভাবকেরা সংবাদ সম্মেলন করে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
অভিভাবক ও ছাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক কোচিংয়ে পড়ানোর সময় ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এজে)