রংপুরের ৫ জেলায় আলু তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৪

রেজাউল ইসলাম বাবু, রংপুর

রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে আলু তোলার কাজ। কৃষি শ্রমিকের অভাবে অনেক কৃষক তাদের জমি থেকে আলু তুলতে পারছেন না। অনেক কৃষক তাদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাজে লাগিয়েছেন আলু তুলতে। বর্তমানে একজন নারী শ্রমিক আলু তোলার জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে পাচ্ছেন তিন থেকে চারশ টাকা। এই কাজে শিশুরাও পিছিয়ে নেই।

চলতি মৌসুমের মঙ্গলবার পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আলু উত্তোলনের পরিমাণ ৪৮ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। এসব আলুর মধ্যে রয়েছে উফশী ও স্থানীয় জাত। বাকি আলু আগামী মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘরে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় গতবারের চেয়ে এবার তিন হাজার ২৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে স্থানীয় ও উফশী জাতের আলুর চাষ করা হয়েছে। যার পরিমাণ এক লাখ ৬০২ হেক্টর জমি।
এর মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত রংপুরে ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমির মধ্যে ১৮ হাজার ৪শ হেক্টর জমি থেকে আলু উত্তোলন করা হয়। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৯ দশমিক ৪৫ ও স্থানীয় ১১ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন।
গাইবান্ধায় ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর জমির মধ্যে আলু উত্তোলিত হয়েছে ৫ হাজার ২৩১ হেক্টর জমির। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৫ দশমিক শূন্য ও স্থানীয় ১২ দশমিক শূন্য মেট্রিক টন।
কুড়িগ্রামের ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে আলু উত্তোলিত হয়েছে ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমির। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৭০ ও স্থানীয় ১৩ দশমিক শূন্য মেট্রিক টন।
লালমনিরহাটে ৬ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমির মধ্যে আলু উত্তোলিত হয়েছে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমির। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৬৭ ও স্থানীয় ১৩ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন।
 নীলফামারী জেলায় ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমির মধ্যে আলু উত্তোলিত হয়েছে ১৮ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমির। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের হার উফশী ২৩ দশমিক ৫০ ও স্থানীয় ১২ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন।
 রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের ধাপেরহাট এলাকার কৃষক আলাউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে ৮ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন।  এবার তার নিজস্ব বীজ দিয়ে আলু চাষ করায় উৎপাদন কম হয়েছে। সব মিলে একর প্রতি তার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকার উপরে।  এবার প্রতি  একরে তিনি গড়  ফলন পেয়েছেন প্রায় ১শ বস্তা। তবে উন্নত বীজ হলে উৎপাদন বেশি হতো বলে জানান তিনি। ফলন কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বিএডিসির নিম্নমানের আলু বীজকে দায়ী করেছেন।  
রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত বছর রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আলুর মোট উৎপাদন হয়েছিলো ২৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫৪ মেট্রিক টন। এবার এর চেয়ে বেশি আলু উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদী।
(ঢাকা টাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এসএ)