মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

বাইডেন নয়, মিশেল ওবামাকেই পছন্দ ডেমোক্র্যাটদের!

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৫ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে জোরালো। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই বদলাচ্ছে। বাইডেনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠছে তার বয়স। সাম্প্রতিক এক জরিপের চিত্র একেবারেই পরিষ্কার, যেখানে দেখা যায়- বাইডেন নয়, অন্য কাউকে চাইছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির অধিকাংশ সদস্য। তিনি হলেন মিশেল ওবামা, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী। 

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন জনমত সংস্থা রাসমুসেন রিপোর্টের এক জরিপে দেখা গেছে-
৪৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বাইডেনের পরিবর্তে প্রার্থী বেছে নেওয়া জন্য ভোট দিয়েছেন। ৮১ বছরের বর্ষীয়ান এই নেতার পরিবর্তে মিশেল ওবামাকে চাইছেন ২০ শতাংশ।

মিশেলের পর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে চাইছেন ডেমোক্র্যাটরা, তিনি পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। এছাড়াও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ৩৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট।

অন্যদিকে মাত্র ৩৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বিশ্বাস করেন বাইডেনের পরিবর্তে অন্য কেউ আসবে। 

যদিও মিশেল ওবামা এখনো পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেননি। তবে তাকে এ বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা।

প্রসঙ্গত, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। আর কোনো মামলার তার বিরুদ্ধে গেলে আগামী নির্বাচন থেকে ছিটকে যেতে পারেন। 

তবে বাইডেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা তার বয়স। সম্প্রতি বারবার স্মৃতিভ্রমের লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ৮১ বছর বয়সি মার্কিন প্রেসিডেন্টের আচরণে। ইউক্রেনের নাগরিকদের ইরানি বলে অভিহিত করা কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘ভ্লাদিমির’ বলা অথবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের নাম গুলিয়ে ফেলছেন তিনি, যা স্বাভাবিকভাবেই বাইডেনের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সম্ভবত, সেই কারণেই ডেমোক্র্যাটদের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন বাইডেন।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/এমআর)