সাকিবের রংপুরকে কাঁদিয়ে ফাইনালে তামিমের বরিশাল
প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২০
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। তবে ম্যাচ কখনো নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি দলটি। দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন সৌম্য সরকার এবং কাইল মেয়ার্স। এই ৩ জনের ব্যাটে সহজেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে তামিম ইকবালের দল।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। রংপুরের দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে বরিশাল।
এই জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে তামিমের বরিশাল। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কয়েকবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরা থেকে গেছে দলটির। এবার শিরোপার লড়াইয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে তারা।
বরিশালের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন তারা। দলীয় ২১ রানে তামিমের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি।
তামিমের বিদায়ের পর একই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজও। আবু হায়দার রনির বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ বলে ৮ রান।
তামিম ও মিরাজের বিদায়ের পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বরিশাল। কিন্তু দলীয় ৬৯ রানে সৌম্য সরকারের বিদায়ে ৪৭ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১৮ বলে ২২ রান করা সৌম্য মোহাম্মদ নবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি।
সৌম্য সরকার ফিরে গেলে মুশফিক ছন্দে ছিলেন আজ শুরু থেকেই। কাইল মায়ার্সকে নিয়ে রংপুরের নাভিশ্বাস তুলেছেন। খুব দ্রুতগতির না হলেও খেলেছেন কার্যকরী ইনিংস। অন্যদিকে বিগশট উপহার দেন মায়ার্স। ১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংসে ছিল ৩ ছয়। আউটও হয়েছেন বড় শট খেলতে গিয়ে। বাউন্ডারি লাইনে হাসান মাহমুদ এবং রনি তালুকদারের বোঝাপড়ায় আউট তিনি।
মুশফিক বাকি কাজটা সেরে নিয়েছেন ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে। দশবছরে ৮ বার দল পালটে বিপিএল শিরোপা পাননি তিনি। এবার সেই লক্ষ্য পূরণের সুযোগটা আবার পাচ্ছেন। আর বিপিএলে পাঁচবারের টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব এবার আসর শেষ করছেন কোয়ালিফায়ার থেকেই।
এর আগে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর ব্যাট করতে নেমেই পড়েছিল বিপদের মুখে। ১০০ পার করবে কি না তা নিয়েই ছিল শঙ্কা। দলীয় রান ৫০ পেরোনোর আগেই নেই ৫ উইকেট। ৮০ ছুঁতে ছুঁতে নেই ৭ উইকেট। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রংপুর ভালো কিছু করবে এমন বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিলেন।
কিন্তু ধ্বংসস্তুপের মাঝে যেন নতুন করে জেগে উঠলেন শামীম পাটোয়ারী। করলেন এবারের বিপিএলের দ্রুততম ফিফটি। তার বিধ্বংসী ইনিংসে রংপুর পেল মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ফাইনালের জন্য তামিমের ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫০ রান।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই শুরু হলো বরিশালের বোলারদের তাণ্ডব। বাতাসে ব্যাপক সুইং। আর তাতে দিশেহারা হয়েছে রংপুর রাইডার্স। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর ২৬ রানে তিন উইকেট। শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি জিমি নিশাম, নিকোলাস পুরান কিংবা মোহাম্মদ নবীরাও। শেষদিকে শামীম ঝড়ো ইনিংস খেললেও তামিম ইকবালের দলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না তা।
(ঢাকাটাইমস/২৮ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)