রমজানে ফিলিস্তিনিদের আল আকসায় যাওয়ার আহ্বান হামাসের

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০ | আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

রমজানের প্রথম দিনেই ফিলিস্তিনিদের জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ যাওয়ার আহ্ববান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সমস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া।

বুধবার একটি টেলিভিশন বক্তৃতায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, ‘জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরে যে ফিলিস্তিনিরা আছেন, তাদের বলছি, রমজানের প্রথম দিনে থেকেই  আল আকসায় দিকে আগ্রসর হন।’

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা রমজান আল আকসায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে সংখ্যা নির্ধারণ করে দেবে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গ্যাভির বলেছেন, রমজান মাসে ফিলিস্তিনিদের নামাজ আদায় করার জন্য আল আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। 

এরপরই হামাসের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ যাওয়ার আহ্ববান জানানো হলো।

এদিকে বুধবার মুসলিমদের রমজান মাসে আল আকসা মসজিদে প্রার্থনা করতে দেওয়ার  জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথুউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা ইসরায়েলের কাছে আবেদন করছি, অতীতের রীতি মেনে রমজানের সময় তারা যেন শান্তিপূর্ণ প্রার্থনার অনুমতি দেয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের স্বার্থেই পশ্চিম তীর ও সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে দেয়া উচিত নয়।’

উল্লেখ্য, জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে হারাম আল-শরিফ কমপ্লেক্সের একটি অংশে আছে আল-আকসা মসজিদ, যা মুসলিমদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান। এই জায়গাটিকে টেম্পল মাউন্টও বলা হয়, যা ইহুদিদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র এলাকা। 

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য তোড়জোড় চলছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানিয়েছেন, আগামী ৪ মার্চের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে বলে আশা করেন তিনি।

গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৈঠক করেছেন ইসরায়েল, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। সেই বৈঠক শেষে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মিসর ও কাতারের কর্মকর্তারা।

সেই বৈঠকেই হামাসকে ৪০ দিন যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ কাতার ও মিসর, যা হামাসের নেতারা পর্যালোচনা করছেন।

বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলছে, প্রস্তাবিত এই খসড়ায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজার হাসপাতাল-রুটি-বিস্কুট-কেক তৈরির কারখানাগুলোর পুনর্গঠন ও নির্মাণ, প্রতিদিন উপত্যকায় ত্রাণবাহী ৫০০টি ট্রাকের প্রবেশ এবং গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের জন্য কয়েক হাজার তাঁবু পাঠানোর মতো বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসবের পরিবর্তে নিজেদের কাছে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে নারী, ১৯ বছরের কম বয়সি কিশোর-কিশোরী, বয়স পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি এবং অসুস্থ- এমন ৪০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে হামাসকে।

সূত্র: রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক পোস্ট

(ঢাকাটাইমস/২৯ফেব্রুয়ারি/এমআর)