ঢাবিতে দিনব্যাপী উদ্ভাবন মেলা

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৯

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী উদ্ভাবন মেলায় মোট ১০০টি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন ও পণ্য প্রদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি উদ্ভাবনী পণ্য এবং ৬১টি সার্ভিস ইনোভেশন আইডিয়া বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস জানিয়েছে।

মেলায় স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাটজাত পণ্য উৎপাদন, বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি, পরিবেশ ও পানি দূষণ প্রতিরোধে টেকসই পদ্ধতি, এনজাইম ব্যবহারের মাধ্যমে চামড়ার গুণগত মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ফল ও শাকসবজি সংরক্ষণের পদ্ধতি, রাসায়নিক পদার্থ মুক্ত চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি, অটোমেশন অব টেবুলেশন সিস্টেম, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক মোবাইল অ্যাপ তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংক্রান্ত সমস্যা নির্মূলকরণ ও বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম, স্টুডেন্ট মনিটরিংসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা ও পণ্য প্রদর্শন করা হয়।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

সোমবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

"Funding Innovation: How, What and Why of Successful Cases?" শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাটাসফ্ট সিস্টেমস বাংলাদেশ এর সভাপতি এম. মানজুর মাহমুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ স্বাগত বক্তব্য দেন। অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কার ও উদ্ভাবনসমূহ জনকল্যাণে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের গবেষকদের উদ্ভাবনী পণ্যসমূহ বাজারজাত করতে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করা হবে। বর্তমান 'নলেজ ইকোনমির' যুগে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের নতুন ধারণা উপস্থাপন ও পণ্য উদ্ভাবন করতে হবে। উদ্ভাবনী ধারণাসমূহ গবেষক ও উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে

তিনি বলেন, তাহলেই আন্তর্জাতিক শিক্ষা মানচিত্রে আমরা টিকে থাকতে পারব।

গবেষকদের উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবার বিকাশ ঘটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিগগিরই 'স্টার্ট আপ স্টুডিও' প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তিনি জানান। 'ক্রাউড ফাইন্যান্সিং সিস্টেম' প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে 'স্টার্ট আপ' চালু করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মানসম্মত গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার উপর তিনি জোর দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন-ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে তিনি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/এসকে/ইএস)