ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ডেনমার্ক আ. লীগের আলোচনা সভা

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৯

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকা টাইমস

ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কোপেনহেগেনের একটি হলে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা মণ্ডলীর প্রধান বাবু সুভাষ ঘোস, উপদেষ্টা রাফায়েতুল হক মিঠু, সহসভাপতি কাজী আনোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম উদ্দিন খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম খালাশী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইউসুব আহম্মেদ এবং ডেনমার্ক আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি জামিল আক্তার কামরুল।
উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান, মোহামেদ বিপ্লব,মোহামেদ রাফি ও আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন,৭ই মার্চ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি অনন্য ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে মুক্তিযু্দ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন।
পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে একটি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জনে যে গেরিলাযুদ্ধের প্রয়োজন, তার প্রস্তুতি নেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দিয়েছিলেন। গুরুত্ব বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃত। এটি অলিখিত ও বিশ্বের সর্বাধিকবার প্রচারিত ভাষণ।
২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা -ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭১ সালের এ দিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বলেন,  ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’। ৭ই মার্চের এ ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তার এ ভাষণ ছিল জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সব দিক থেকে প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা।
সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
(ঢাকা টাইমস/০৮মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)