বিয়ের ২২ দিন পর স্বামী জানলেন স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৩

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

গত ২ দিন আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সজীবের সঙ্গে একই উপজেলার এক কিশোরীর (১৫) পারিবারিকভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে নববধূর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামী সজিবের। স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই বেরিয়ে আসতে শুরু করে চাঞ্চল্যকর তথ্য। 
এ ঘটনায় নববধূ ও তার সৎ বাবা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) হেফাজতে নিয়েছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নববধূ জানিয়েছে, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে নিজ স্বামীর নামে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন।
অপরদিকে, সৎ বাবা আলতাফ হোসেনও বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গনি মিয়া।
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত  আলতাফ হোসেনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী সজিব। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এরপরই স্বামী সজীবের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। বাড়ি এসে পরিবারকে জানায় সজিব। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কাজী তালাক কার্যক্রম করতে অস্বীকৃতি জানায়।

অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সিগঞ্জ গ্রামে। তিনি গত ১৭ বছর আলমডাঙ্গার উপজেলার একটি গ্রামের দুই কন্যা সন্তানের জননীকে বিয়ের পর থেকে ঘর জামায় হিসেবে থাকছেন। আর সেই সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, কিশোরী মেয়ে ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছেন তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আমাদের নিকট।
তিনি আরও বলেন, গত ২২ দিন আগে নববধূর বিবাহ হয়। এরপর থেকে স্বামী তার স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের নিকট পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা বলে নিশ্চিত হন। এঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। 

(ঢাকা টাইমস/০৮মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)