নারীদের দিয়ে অপহরণ ফাঁদ, অতঃপর...

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৯

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

নারীদের দিয়ে বিত্তবানদের টার্গেট করে পাতা হতো ফাঁদ। সেই ফাঁদে যারা পা দিতো তাদেরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। লেনদেনের মাধ্যম ছিল 'ক্রিপ্টোকারেন্সি' রাজধানীতে বসে এমন অপরাধ সংগঠিত করছিল একটি চক্র। একটি অপহরণের ঘটনার ১০ দিন পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর সব তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)

 

শুক্রবার ( মার্চ) রাতে ডিবির একটি দল রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ব্যবসায়ী লিটন মিয়াকে উদ্ধার করে।

 

শনিবার ( মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, লিটনকে কৌশলে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। এসময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে; যারা এই অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। চারজনের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুই নারীকে। তারা সম্পর্কে মা-মেয়ে। মূলত চক্রটির নারী সদস্যদের দিয়েই ফাঁদ পাতা হয় অপহরণের। ভুক্তভোগী লিটনকেও এক নারী সদস্যকে দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল।

 

'তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এই চক্রটি পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরের কোনো এলাকায় তাদের ব্যবহৃত ফোন ফেলে দিতো।

জুয়েল রানা নামের একজন তাদের প্রধান সমন্বয়ক। নিজের শ্বশুড়কে হত্যা করার মধ্যদিয়ে অপরাধীর খাতায় নাম লেখানো এই জুয়েলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১৮টি।

 

ডিবি পুলিশ বলছে, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে ব্যবসার কথা বলে নারীদের দিয়ে অপহরণ করে চক্রটি। জুয়েল রানা নিজেই ৩০টি অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মুক্তিপণের টাকা আদায় করেন তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

 

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, জুয়েল রানার বাড়ি নবীনগর। ওই এলাকায় তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তার শ্বশুরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে অপরাধ জগতে নাম লিখেছিল।

 

হারুন অর রশিদ বলেন, লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে তিনি অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন, যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। এর মধ্যে লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান।

(ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/এসএস/কেএম)