ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে ত্রিশালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

প্রকাশ | ১১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪২

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ত্রিশাল থানা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামানের স্ত্রীর পরাজয় নিয়ে শনিবার রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল আহমেদ। ওই স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকরা। এর জের ধরে রবিবার বিকালে ফয়সাল ত্রিশাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে গেলে সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করে থানায় সোপর্দ করা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা। রাত সোয়া ১০টার দিকে  বিক্ষোভকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে থানা গেটের সামনে গেলে এমপি অনুসারীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ অন্তত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন।

ভুক্তভোগী ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণে ছিলাম। সেখানে থেকে আমাকে তুলে নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে পেটানো হয়। পরে আমার হাতে স্কচটেপ মোড়ানো বলের মতো ককটেল দিয়ে আমাকে থানায় সোপর্দ করে।

তিনি আরও বলেন, আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম ‘পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মেয়র (পৌর মাতা) ৯ সন্তানের মায়ের কী হলো।’ পরে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি। ভুলের জন্য তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ফয়সালকে এমপির লোকজন থানায় দিয়ে যায়। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/পিএস)