নোয়াখালীতে ভোক্তার অভিযানে পালালো তরমুজ ও ফল ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৪, ২১:৩২

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর পৌর বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী। অভিযানকালে মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা আপডেট না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে ফল বিক্রি করার অপরাধে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাইজদী পৌর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। অভিযানে সহযোগিতা করেন, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা শওকত আলী ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ও রমজানে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে মাইজদী পৌর বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, তালিকা হালনাগাদ না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে আপেল, কমলা, খেজুর, আঙ্গুর বিক্রি করার অপরাধে বাহার ফল বিতানকে তিন হাজার, ইসমাইল ফল বিতানকে দুই হাজার ও পূর্ণিমা এন্টারপ্রাইজকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

কিছু দোকানে অনিয়মের কারণে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে এমন খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে বাজারের বেশির ভাগ ফল ও তরমুজ ব্যবসায়ী তাদের দোকান রেখে পালিয়ে যায়। ভোক্তার অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত সেই দোকানগুলোতে গিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকলেও কোনে মালিককে না পেয়ে ফিরে আসে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি যারা আড়ৎদার এবং পাইকার রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো দরকার। কম দামে ক্রয় করতে পারলে কম দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারবে। বড় বড় সিন্ডেকেট না ভেঙে লোক দেখানো এ অভিযান করে বাজারে স্বস্তি ফেরানো সম্ভব না বলে মনে করছেন অনেকে।

মাইজদী পৌর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকার বলেন, অনেকদিন পর অভিযান হওয়ার কারণে ভয়ে ফল ব্যবসায়ীরা দোকান রেখে পালিয়ে গেছে। তারা যেন আগামীতে এমন কাজ না করে সে বিষয়ে বুঝানো হবে বলেও জানান তিনি। সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আমাদের সমিতি থেকে অনুরোধ করা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বলেন, অভিযানকালে তিনজন ফল বিক্রেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আগামীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এআর