৪ উইকেট হারিয়ে চাপে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৪২ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে ৭৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। তাসকিন আর মোস্তাফিজের পর লঙ্কান শিবিরে আঘাত হেনেছেন রিশাদ হোসেন। 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও পাথুম নিশাঙ্কা। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন আহমেদ। 

তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ৮ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া পাথুম নিশাঙ্কা। তার বিদায়ে ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। 

পাথুম নিশাঙ্কার পর আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকেও সাজঘরে ফেরান তাসকিন। তাসকিনের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। 

এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়েন  কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে লঙ্কানরা। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে এই জুটিকে থামান আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। 

মুস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১৫ বলে ১৪ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমা। তার বিদায়ে ৪১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। 

৪১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন চারিথ আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। এই জুটিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠছিল শ্রীলঙ্কা। 

অবশেষে লঙ্কান শিবিরে আঘাত হেনে এই জুটিকে ফেরান রিশাদ হোসেন। নিজের প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন তিনি। রিশাদের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ৫১ বলে ২৯ রান করা কুশাল মেন্ডিস। তার বিদায়ে ভাঙল ৩৩ রানের জুটি। 

আজকের ম্যাচে সফরকারী শ্রীলঙ্কার একাদশে এসেছে এক পরিবর্তন। ইনজুরিতে পড়া দিলশান মাদুশঙ্কার বদলে একাদশে এসেছেন মাহিশ থিকশানা। 

বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: আভিস্কা ফার্নান্দো, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জেনিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ভেল্লালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকশানা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এনবিডব্লিউ)