চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু গত বছরের দ্বিগুণ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

চলতি বছর ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৬৬ জন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসে ৮৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মারা যান ৯ জন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, এ বছর ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ঢাকার তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৫২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরে ১৮ মার্চ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন।

বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৫৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯০ জন, খুলনা বিভাগে ৯৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮, রংপুর বিভাগে ১৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।

গত বছর দেশে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং মারা যান। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ৮৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মারা যান ৯ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ৫৬৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন এবং ছয়জন মারা গেছেন। ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত হন ১৬৬ জন এবং মৃত্যু হয় তিনজনের। আর মার্চে আক্রান্ত হন ১১১ জন এবং কেউ মারা যাননি।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/ইএস)