গাজায় পাঠানো ত্রাণ আটকে রেখেছে ইসরায়েল, ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জন্য যুক্তরাজ্যের পাঠানো ত্রাণের চালান প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সীমান্তে আটকে রেখেছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। প্রচণ্ড হতাশা ব্যক্ত করে তিনি আরও দাবি করেন, গাজার জন্য যুক্তরাজ্যের পাঠানো ত্রাণ নিয়মিতভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। খবর আনাদোলুর। 

হাউস অফ কমন্সের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ার অ্যালিসিয়া কার্নসকে লেখা এক চিঠিতে ক্যামেরন ইসরায়েলি সরকারের এধরনের পদক্ষেপকে ‘স্বেচ্ছাচারীতার স্বীকৃতি’ বলে উল্লেখ করেছেন।

চিঠিতে ক্যামেরন বলেন, ‘গাজার জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আমি জানি যে ইউকে-অর্থায়নকৃত কিছু সাহায্য চালান অনুমোদনের অপেক্ষায় তিন সপ্তাহ ধরে সীমান্তে আটকে আছে।’

তিনি সাবেক ইসরায়েলি মুখপাত্র আইলন লেভির দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, জাতিসংঘের অনুরোধে শনিবার দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ক্যামেরনের দাবি, ইসরায়েল সাবাথের (শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত  বেশিরভাগ ইহুদিরা ধর্মীয় রীতি পালন এবং কাজ থেকে বিরত থাকেন) কারণে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

গত ৮ মার্চ একটি পোস্টে লেভি দাবি করেছেন, গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ বা আশ্রয়ের সরঞ্জাম প্রবেশের কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা করুন। কেরেম শালোমে দিনে আরও ১০০টি ট্রাক পাঠান এবং আমরা সেগুলো নিয়ে যাব।’

ইসরায়েলের মুখপাত্রের দাবির জবাবে চিঠিতে ক্যামেরন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে জাতিসংঘ শনিবারে কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করার অনুরোধ করেনি। এটা আমাদের বোঝার যে ইসরায়েল সাবাথের কারণে এটি বন্ধ করে দেয়।’ 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ইসরায়েল সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবেই ত্রাণের চালান গুলোকে ছাড়পত্র দিতে দেরি করে। এছাড়াও এধাধিক স্থানে তল্লাশি চালানোর জন্য সাহায্য সরবরাহ আটকে রাখার মূল কারণ।  

চিঠিতে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য ইসরায়েলকে অ্যাশদোদ বন্দর এবং আরও সীমান্ত ক্রসিং খোলার আহ্বান জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এমআর)