সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে: এবি পার্টি

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট ও সিন্ডিকেট বাণিজ্যের প্রভাবে দেশের ৪ কোটি মানুষ এখন খাদ্য সংকটে আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও আমদানিতে আওয়ামী সিন্ডিকেট এমনভাবে জেঁকে বসেছে সেখানে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা উল্টা মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে, তারা দেশের মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রবিবার মাসব্যাপী গণইফতারের ১৪তম দিনে বিজয়নগর ৭১ চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে এই অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।

দলের যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনডিএম'র চেয়ারম্যান জননেতা ববি হাজ্জাজ।

বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, মেজর অব. রেজাউল হক ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমি এখন ভালো আছি কারণ আপনাদের সঙ্গে ইফতার করছি তাছাড়া শেখ হাসিনা দেশকে ভালো রাখে নাই। আমরা সবাই এই দেশের মানুষ, এইটা আমাদেরও বাপ দাদার দেশ কিন্তু আজ আমরা কী দেখছি, মনে হচ্ছে এইটা একজন ব্যক্তির বাপ দাদার দেশ। আপনাদের মতো মানুষ যারা ঢাকায় এসেছিলেন একটা আশা নিয়ে যেকোনো কাজ করবেন, আয় ইনকাম করে পরিবার নিয়ে ভালো থাকবেন কিন্তু আপনাদের এই হক আজ সব খেয়ে হজম করছে আওয়ামী লীগের গুন্ডা পান্ডারা। গরিব মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার কথা এলাকার এমপি, মন্ত্রী, কমিশনারদের তারা আজ কোথায়। এখন গরিবদের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে এবি পার্টি।

তিনি আরও বলেন, এই দেশ এক শেখ হাসিনার না, এই দেশ আমাদের সবার। এতো ক্ষমতা দেখাইয়েন না, সতের কোটি মানুষের হক মেরে টিকে থাকতে পারবেন না।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ৪ কোটি মানুষকে ঋণ করে প্রতিদিনের খাবার জোগাড় করতে হচ্ছে। মানুষ যখন নীরব দূর্ভিক্ষে দিশাহারা, তখন সরকারের মন্ত্রীরা মানুষের কষ্ট নিয়ে বিদ্রুপ ও উপহাস করছে। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে, দাম বাড়লে এর লাভ উৎপাদনকারী ও কৃষকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে সর্বাহারা হয়ে পড়েছে। সরকারি দলের চাঁদাবাজ ও লুটপাট সিন্ডিকেট সব লাভ খেয়ে ফেলছে। তিনি এই লুটপাট নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মেজর মিনার বলেন, আমরা মনে করি আপনারা যারা আমাদের এখানে ইফতার করতে এসেছেন, আর যারা আয়োজন করছে সবাই মানুষ। আগামীকাল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এই স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। আজ তার কিছুই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এমন স্বাধীনতা পেয়েছি যে আজ আপনাদের এক প্যাকেট খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্বাধীনতার নামে এই অসম ব্যবস্থা, অনৈতিকতা আর অবাধ লুটপাট চলতে পারে না। তাই আমাদের বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাতে হবে। গণমানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মেজর (অব.) রেজাউল হক বলেন, এবি পার্টির এই ইফতারে এসে খুব ভালো লাগল। এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই কার্যক্রমকে সার্বিক সহোযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ।

গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, আমেনা বেগম, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ি থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/জেবি/ইএস