বিদেশি প্রভুর ইন্ধনে ভারতবিরোধিতা করছে বিএনপি: শেখ পরশ

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোনো বিদেশি প্রভুর ইন্ধনে বিএনপি ভারতবিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

 

তিনি বলেন, দক্ষতা নেই বলে নেতিবাচক রাজনীতির দিকে বিএনপি ধাবমান। তাই ওরা দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই স্বাধীনতার মাসে ওরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তাদের বেগম সাহেবরা ভারত যাচ্ছে ঈদের শপিং করতে।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় যেই ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের অস্ত্র দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করেছে— বিএনপি তাদের এখন বিরুদ্ধাচারণ করছে। নিশ্চয়ই অন্য কোনো বিদেশি শক্তির উসকানিতে এই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু লাভ হবে না, বেঈমানদের কেউই বিশ্বাস করে না, ইতিহাসও ক্ষমা করে না। স্বার্থ হাসিল করে ছুড়ে ফেলে দেবে।  যতদিন জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে ততদিন কেউ বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না ।

 

বুধবার উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতি মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার (খাদ্য ও বস্ত্র) বিতরণ অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। দেশের জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নাড়ির সম্পর্ক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৪ বছর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য। সে কারণে এদেশের জনগণকে আমরা সবসময় আমাদের সঙ্গেই পাই। এদেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আওয়ামী লীগের পাশে ছিল এবং থেকে আসছে।

 

যুবলীগের ভিত্তি অনেক শক্ত উল্লেখ করে পরশ বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও ওরা নৌকার ভোটারদের টলাতে পারেনি। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এ দেশের মানুষ আছে।

 

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে তা বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা রাখেন। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন।  তিনি বলেন, এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, দেশের মানুষের প্রতি সহমর্মী হতে হয়, দুর্নীতি পরিহার করতে হয় ও রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়।

           

তিনি যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ। আমাদের প্রধান কাজ জনগণের পাশে থাকা। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন সেটা অনুসরণ করতে হবে।

 

সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোনো জনবিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের পূর্ব-নির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা জননেত্রী শেখ হাসিনা রচিত করেছেন ইতোমধ্যে, সেটা হচ্ছে মানবিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতা।

 

 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী এমপি, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে।

 

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/টিইউ/এআর)