সাংবাদিক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৪ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

দেশে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রতিবেদন তৈরিতে আধুনিকতার প্রবর্তক মিনার মাহমুদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১২ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মিনার মাহমুদের কবর জিয়ারত, দোয়া পাঠ ও দিলু রোড ছাতা মসজিদে বাদ জুম্মা মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৫৯ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করা মিনার মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। ছাত্র জীবনেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। ফরিদপুর থাকার সময়ে এক সময়ের আলোড়ন তোলা সংগঠন ‘লেখক শিবির’ করতেন মিনার মাহমুদ। তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রায় রিপোর্টিংয়ের সনাতনি প্রথাটা ভেঙে আধুনিকতা আনেন।

১৯৮৭ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে সম্পাদক হিসেবে আবির্ভাব ঘটে মিনার মাহমুদের। ৩২ পৃষ্ঠার নিউজপ্রিন্ট ‘বিচিন্তা’ তাকে সাফল্য এনে দেয়। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোষানলে পড়ে কারাগারে যেতে হয় মিনার মাহমুদকেব। বন্ধ করে দেয়া হয় পত্রিকাটির প্রকাশনা।

১৯৯০ সালে সামরিক শাসন হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে মিনার মাহমুদ দ্বিতীয় দফায় বিচিন্তা প্রকাশ করেন। এবারের যাত্রাও মসৃণ হয়নি তার জন্য। নানা মহলের মামলা, হয়রানির কারণে কিছু দিন পর পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০০৯ সালে দেশে ফিরে আবারও বিচিন্তা প্রকাশ করেন। তবে ‘করপোরেট সংস্কৃতি’র দাপট সামাল দিতে না পেরে এদফায় হাল ছাড়লেন মিনার মাহমুদ। তারপর ২০১২ সালের ২৯ মার্চ আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি।

মিনার মাহমুদের সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে গল্পের বই ‘মনে পড়ে রুবী রায়’, উপন্যাস ‘আমার দেবী ফুলন’, জার্নাল ‘পিছনে ফেলে আসি’, ‘নির্ঘুম স্বপ্নের দেশে’।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এফএ)