আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটি, আখাউড়ায় ৪ ঘণ্টা পর যাত্রী পারাপার সচল

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৯

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ভারতের আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভারে ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪ ঘণ্টা যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিলো। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটি থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভারের ত্রুটি মেরামত শেষে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়। তবে যাদের ভারতের বিমানের টিকিট আছে তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ১২টা) দেড়শ থেকে ২’শ যাত্রী ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি দুর্ভোগে পড়েন। এসময় তারা যাত্রী ছাউনী ও গাছ তলায় বসে সময় কাটান।

আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টায় আমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করি। ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠাই। সোয়া ৮টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিএসএফের মাধ্যমে মৌখিকভাবে আমাদেরকে জানায় আগরতলা ইমিগ্রেশনের সার্ভার ডাউন আছে। এ কারণে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন না। তারা আমাদেরকে অনুরোধ করে বলে আমরা যেন কোনো যাত্রী না পাঠাই। পরে আমরা আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তারা শূন্য রেখায় আসে। আমরাও শূন্য রেখায় যাই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা আমাদেরকে যেসকল যাত্রীর ভারতের আভ্যন্তরিণ বিমানের টিকিট আছে তাদেরকে ভারতে পাঠাতে বলে। আমরা যাদের টিকিট আছে তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ভারতে পাঠিয়েছি।’

মো. খাইরুল আলম আরও বলেন, বেলা সোয়া ১২টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সার্ভার সচল হয়েছে। এরপর যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়।

উল্লেখ্য, যোগযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৭-৮’শ যাত্রী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করে। সেখান থেকে অনেকেই চিকিৎসাসহ অন্যান্য প্রয়োজনে বিমান যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গমন করেন।

(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)