সাভারে লরি উল্টে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৯ | আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

সাভারের হেমায়েতপুরে তেলবাহী লরি উল্টে আগুন লাগার ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার রাত ১টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মো. সাকিব (১৫) নামে এক কিশোর। সে ট্রাকের হেলপার ছিল। এ ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি তেলবাহী লরি উল্টে আগুন ধরে যায়। লরির আগুনে পুড়ে যায় পাশের ট্রাকসহ আরও চারটি গাড়ি। এতে ঘটনাস্থলেই হেমায়েতপুরের ইকবাল হোসেনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দগ্ধ ৮ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। এর মধ্যে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন হাসপাতালে আনার পথেই মারা যান। 

বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “নজরুল ইসলামকে (৪৫) মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে।”

পরে রাত ৯টার দিকে ট্রাকের চালক হেলাল (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগুনে দগ্ধ মিলন মোল্লার (২২) শরীরের ৪৫ শতাংশ, মিমের (১০) শরীরের ২০ শতাংশ, আল-আমিনের (৩৫) ১০ শতাংশ, নিরঞ্জনের (৪৫) ৮ শতাংশ, হেলালের (৩০) শরীরের শত ভাগ, আব্দুস সালামের (৩৫) শরীরের ৫ শতাংশ, সাকিবের (২৪) শতভাগ ও আল আমিনের (২২) শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে তেলবাহী লরি ঢাকা থেকে সাভারের দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাভারের জোড়পুল এলাকায় পৌঁছায়। ওই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন বানানোর জন্য সড়কের ওপর রাখা বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। উল্টে যাওয়ার পরপরই তেলবাহী লরিতে আগুনে লেগে যায়। লরির পেছনে ও পাশে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যান, দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরে যায়।

সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। 

মো. ইকবাল নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “তিনটি গাড়ি প্রায় পাশাপাশি যাচ্ছিল। তেলের গাড়ি ছিল সবার ডান দিকে, মাঝখানে প্রাইভেট কার এবং বাঁ পাশে ছিল তরমুজবাহী ট্রাক। তেলের গাড়ি ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেলে ট্রাক, প্রাইভেট কারসহ অন্য গাড়ি আটকে যায়। তেলের গাড়িতে আগুন লাগলে ওই আগুন অন্য গাড়িতেও লাগে।”

(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/এফএ)