ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ২৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

মাদারীপুরে আসন্ন ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনার প্রতিরোধ ও যানজট নিরসণের জন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর থাকা ২৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট হ্যামিলটন ব্রীজের উভয়পাশে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজৈর উপজেলার সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম। 
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের সূত্র জানায়, মহাসড়কটি যানজটমুক্ত রাখতে, সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও পবিত্র রমজান মাসে মানুষের কেনাকাটার সুবিধার্থে টেকেরহাট বন্দরে অভিযান চালায় প্রশাসন। এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাট হ্যামিলটন ব্রিজের উভয়পাশে অন্তত ৬০০ মিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সবজি দোকান, ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান, মাংসের দোকান, হোটল ও রেস্তোরা, ইট-বালির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ২৫০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান পেলোডার ও গ্রেটার দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম হোসেন, মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মারুফ রহমান প্রমুখ।
এদিকে ঈদের আগে এমন উচ্ছেদে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, মাত্র এক ঘণ্টার নোটিশে তাদের স্থাপনা অনত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। 
ক্ষতিগ্রস্ত ফল ব্যবসায়ী সুমন শেখ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। এখানে দোকান কইরা খাই। আর গরিবের ওপর সরকারের যত সমস্যা। আমার দোকানডা গুড়াইয়া দিছে। আমাগো ঈদ শেষ কইরা দিছে।’
মহাসড়কের পাশে সবজি বিক্রিতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘মানছি আমাগো দোকান অবৈধ। ছোটখাটো ব্যবসা কইরা খাই। চুরি তো আর করছি না। গরিবের পেটে লাথি দিয়া ওরা আমাগো দোকানটা ভেঙে চুরে দিছে। আমাদের বিকল্প কিছু করার সময়টাও ওরা দেয় নাই।’
এ সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোতাহার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাট হ্যামিলটন ব্রিজের দুই পাশে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘদিন ধরে ছোট বড় অসংখ্য দোকানপাট গড়ে উঠেছিল। এসব ভাসমান দোকানের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা, যানজট ও পথচারীদের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হয়। এ কারণে এসব দোকানিদের একাধিকবার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। তাই বুধবার আমরা পেলোডার ও গ্রেটার ব্যবহার করে টেকেরহাট হ্যামিলটন ব্রিজের উভয় পাশে অন্তত ২৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ স্থাপনা রোধে আমাদের এ অভিযান নিয়মিত চলমান থাকবে।’
মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মারুফ রহমান বলেন, ‘উচ্ছেদেরে সময় দোকানিদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা যদি আবারো মহাসড়কে বাঁধা সৃষ্টি করে দোকানপাট নির্মাণ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজৈর উপজেলার সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ, যানজট নিরসন ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের আগে একাধিকবার তাদের সওজ থেকে নোটিশ করার পরেও তারা তাদের স্থান ত্যাগ করেনি। তাই উচ্ছেদ ছাড়া বিকল্প কিছু করার ছিল না।’
(ঢাকা টাইমস/০৩এপ্রিল/এসএ)