কেএনএফ পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০০

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়ে ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

এ সময় বিএনপির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি। এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদার বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদ সামনে রেখেও সবসময় অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে এবং কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোনো পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার।

 

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন। নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/কেএম)