ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন তিন বন্ধু
প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন ১১ বন্ধু। গন্তব্য ছিল চট্টগ্রাম। উদ্দেশ্য ঈদের কেনাকাটা করা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের শিকার হয়ে ১১ বন্ধুর তিনজনই ফিরলেন লাশ হয়ে। তবে সৌভাগ্যবশত বেঁচে গেছেন বাকি ৮জন।
শুক্রবার সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় সর্বমোট ৬ জনের মৃত্য হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামে।
নিহত ওই তিন বন্ধু হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামের ইয়াছিনের ছেলে সাজ্জাদ (২০), রুহুল আমিনের ছেলে রিফাত (১৯) এবং নুরুল ইসলামের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ (১৯)।
ওইদিন বিকালে নিজ গ্রাম শাকতলা আজিজিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে তাদের তিন বন্ধুকে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শাকতলা গ্রামের ১১ বন্ধু চট্টগ্রাম গিয়ে ঈদের কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে সকালে পাশের উপজেলা নাঙ্গলকোটের হাসানপুর গিয়ে ট্রেনে ওঠেন। এর মধ্যে তিন জন ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছে বসেন আর বাকি আট জন ভেতরে বসেন। ফেনীর ফাজিলপুর-মুহুরীগঞ্জ রেল ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়। এতে ১১ বন্ধুর তিনজনেরই মৃত্যু হয়। তবে ভেতরে থাকার কারণে বেঁচে যান বাকি আট জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১) নং রেলগেটে সকালে গেইটম্যান ছিল না। ফলে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন ওই স্থান অতিক্রম করার সময় বালুবাহী ট্রাকটি রেললাইনে উঠে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান জানান, নিহত ৬জনের মধ্যে তিন বন্ধু ছাড়া বাকি ৩জন হলেন, ট্রাক চালক ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কাউয়ারাহা এলাকার আবুল হাওলাদারের ছেলে মো. মিজান (৩২), কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে মো. আশিক ও মৃত আমির আলীর ছেলে মো. আবুল খায়ের (৩৫)। এ ঘটনায় দুই লাইনম্যানের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা করো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৬এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)