গোপালগঞ্জে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শামীম মোল্যা নামের এই আসামি ১৪ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।

রবিবার র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার আজাহার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার রাতে র‌্যাবের একটি দল ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ২০০৯ সালের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে একটি পরিবারের সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত পলাতক কুখ্যাত ডাকাত শামীম মোল্যাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ডাকাতির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য দিয়েছে।

র‌্যাব-৩ এর এই কর্মকর্তা জানান, ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় কাশিয়ানীর মাজড়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছবুর হোসেন মোল্যা তার স্ত্রী-সন্তানদের বাড়িতে রেখে চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যান। ছবুর মোল্যার অনুপস্থিতির সুযোগে ওইদিন রাতে ঘরের দরজা ভেঙে গ্রেপ্তার শামীম ডাকাতসহ তার সহযোগী সাজু মোল্যা, নুরু মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, সোহাগ, বুদ্দু শেখ, কোবাদ, বাবুল, শাহী, জনি, মাফিজুর ও আলামিন ঘরে প্রবেশ করেন। আসামিরা ছবুর মোল্যার স্ত্রী ও সন্তানকে টেনে হিঁচড়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের গলায় ধারালো রামদা ও ছোরা ধরেন। ছবুর মোল্যার স্ত্রীর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও ট্রাংকে রাখা নগদ ৭২ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি স্বর্ণের চেইন, এক ভরি রুপার গহনাসহ মূল্যবান জিনিস লুট করেন।

আহাজার হোসেন আরও জানান, ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার পর ছবুর মোল্যার স্ত্রীর চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাস্থল ছবুর মোল্যার বাড়িতে উপস্থিত হন। সংবাদ পেয়ে ছবুর মোল্যা নিজেও বাড়ি ফিরে আসে। ছবুর মোল্যার স্ত্রী ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে সাজু মোল্যা ও নুরু মোল্যাকে চিনতে পেরেছে বলে উপস্থিত সবাইকে জানান। পরদিন সকালে ছবুর মোল্যা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সাজু মোল্যা ও নুরু মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি জানান, আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় নিজেরা জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেন এবং ঘটনায় জড়িত শামীম ডাকাতসহ ১০ জনের নাম প্রকাশ করেন। এরপর শামীম ডাকাত গ্রেপ্তার হন। নয় মাস জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এসময় ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করেন। এদিকে ডাকাতির মামলাটি দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত ২য় মামলার ১২ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর গ্রেপ্তার এড়াতে শামীম মোল্যা ময়মনসিংহ থেকে ফতুল্লায় আত্মগোপন করে। এরপরই র‌্যাব-৩ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/এসএস/ইএস)