ঈদের দিনে কোন বেলায় কী খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত জেনে নিন

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪
অ- অ+

এক মাস রোজা রাখার পর আজ দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আমাদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা অন্যান্য দিনের মত এদিনও একই থাকবে। তবে দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের পর হঠাৎ করে বেশি খাওয়াটা সবার জন্য সহনীয় হয় না। তাই যার যার ডাইজেশন পাওয়ার অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ ভিন্ন হওয়া জরুরি।

একটি জিনিস এবারের ঈদে সবাইকে মাথায় রাখতে হবে, সেটা হলো ঈদটা পড়েছে গরমে। তাই খাবার গ্রহনের সময় এই জিনিসটিও মাথায় রাখতে হবে। ঈদের দিন কোন বেলা কেমন খাবার খাওয়া উচিত, চলুন জেনে আসি কী বলছেন পুষ্টিবিদরা।

ঈদের সকালের নাশতা

সকালের নাশতা খুব সাধারণ এবং সহজপাচ্য হতে হবে। প্লেইন রুটি, সঙ্গে সবজি অথবা পরিমিত পরিমাণে সেমাই বা পায়েশ নেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি এবং ডায়েট কন্ট্রোলে আছেন, তারা সেমাই বা পায়েশ খেলে রুটিটা বাদ দেবেন। কারণ সেমাই বা পায়েশ দুটির মধ্যেই শর্করা আছে। সঙ্গে আধা ঘণ্টা পর যে কোনো একটি ফল বা ফলের সালাদ খেতে পারেন। যারা ডায়াবেটিক রোগী তারা অতিরিক্ত শর্করা গ্রহনেও সচেতন থাকবেন।

ঈদের দুপুরের খাবার

ঈদের দিন দুপুরে সময়মত খাবার খাওয়া হয়ে ওঠে না। ঘোরাঘুরি আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় খাওয়ার কথা অনেকেই ভূলে যান বা দেরি করে ফেলেন। এ ব্যাপারে সবারই সচেতন হওয়া উচিৎ। যারা ডায়াবেটিস রোগী তাদেরকে অবশ্যই খাবার সময়মত খেতে হবে। অন্যদেরও সমান। কেন না খাবার সময় মত না খেলে অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা হতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রিক, মাথা ব্যাথা, খাবার হজমে সমস্যা ইত্যাদি।

তাই খুব বেশি অয়েলি খাবার খাওয়ার চিন্তা করা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি যেটাই খাবেন আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সেটার প্রসেস কিভাবে করবেন। তারপর গ্রহণ করার সময় অবশ্যই আপনাকে পরিমাণটাও ঠিক করে নিতে হবে। মাংস খেলে যে কোনো এক ধরনের খেতে হবে। যেমন, মুরগি, গরু, খাসীর মাংস যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে। সঙ্গে যে কোনো সবজি বা সালাদ অবশ্যই রাখতে হবে। সালাদে টক দই ব্যবহার করলে খুবই ভালো হবে।

ঈদের রাতের খাবার

রাতের খাবার হালকা হলে পরের দিনের অনুভূতিও ভালো হবে। সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর স্বাভাবিক ভাবেই সবাই ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই রাতের খাবারের মেনু এমন রাখতে হবে যেন পেট ভরার সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্তিভাবটাও চলে যায়। ভাত অথবা রুটির সঙ্গে যে কোনো একটা তরকারি নিতে পারেন। সেটা হতে পারে মাংস অথবা ডালের সবজি। সঙ্গে একটি টক ফল।

মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা এক নয়। অনেকেই অনেক রোগে আক্রান্ত। তাই অনেকেরই খাবার আলাদা হবে। তাই যার যেই খাবারে নিষেধাজ্ঞা আছে, তাকে সেটা মেনে খেতে হবে। খাবার গ্রহণে পরিমাণ আর খাবারের টাইপ বুঝে খেতে হবে।

গরমের কারণে ঘোরাঘুরিতে শরীর থেকে অনেক পানি আর লবণ বের হয়ে যেতে পারে। তাই এই ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। প্রচুর পানি বা ফলের পিওর জুস বা ডাবের পানি খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে খাবেন। রোজা রাখার পর অনেকেরই হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই এ ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ 
বাড্ডায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন শিশুর মৃত্যু, চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
টাইব্রেকারে সাফ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের, চ্যাম্পিয়ন ভারত
পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত আইজিপি হলেন ১২ পুলিশ কর্মকর্তা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা