টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব করলেন প্রসূতি, বাঁচানো যায়নি একটিও

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৬

​​​​​​​টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার সুমনা আক্তার (২৪) নামে এক প্রসূতি মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেও বাঁচানো যায়নি একটিও। অপরিপক্ব হওয়ায় নবজাতকগুলো জন্মের পর পরই মারা গেছে।

শিশুদের মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে ছিল। ওই প্রসূতি বর্তমানে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঈদ-উল-ফিতরের দিন দুপুরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে পরপর ছয় সন্তান প্রসব করেন সুমনা আক্তার।

তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী।

সুমনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে সুমনার বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে এক গাইনি চিকিৎসক ওই দম্পতিকে জানান- সুমনার গর্ভে চারটি সন্তান বড় হচ্ছে। এরপর থেকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন সুমনা। ১৫ দিন আগে সুমনার স্বামী সিঙ্গাপুর চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে সুমনা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর স্বজনরা সুমনাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদের মামা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সুমনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপর তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুমনা ছয় সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই শিশুগুলো মারা যায়। সুমনার অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।’

গড়গোবিন্দপুর উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সুমনার মামা শ্বশুর শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে পরিবারটি অনেক খুশি হয়েছিল। তবে একে একে সবগুলো সন্তানের মৃত্যু হয়। শিশুদের মৃত্যুতে পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। এ দম্পতির আগে কোনো সন্তান ছিল না।’

মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হাসপাতালে আনার পর তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব নবজাতকের মৃত্যু হয়।’

(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস