ইরান ও ইসরায়েল ভ্রমণে ফরাসিদের নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০০
ফ্রান্সের নাগরিকদের ইরান, লেবানন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয় বলে শুক্রবার জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এক্স-এ দেওয়া বিবৃতিতে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরান-ভিত্তিক কূটনীতিকদের আত্মীয়রা ফ্রান্সে ফিরে আসবে। ফরাসি বেসামরিক কর্মচারীদের এখন উল্লিখিত জায়গায় কোনও মিশন পরিচালনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইসরাইলে ইরান অথবা ইরান সমর্থিত অন্য দেশে থাকা যোদ্ধাদের হামলার শঙ্কায় ফ্রান্স এ অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু ফ্রান্স নয়, নিজ দেশের নাগরিকদের ইসরায়েলে ভ্রমণে সতর্ক করেছে আমেরিকা। ইসরায়েলে থাকা মার্কিন নাগরিকদের জন্য এ ভ্রমণ সতর্কতা দেশটি।
ইরানের হামলার শঙ্কায় নাগরিকদের জেরুজালেম, তেল আবিবের বাইরে না যেতে বলেছে মার্কিন দূতাবাস। উত্তেজনা না বাড়াতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানাতে চীন, তুরস্ক, সৌদি আরবকে অনুরোধ জানিয়েছে আমেরিকা।
এদিকে, ইরান ও ইসরায়েলের বিরোধের কারণে পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই উত্তেজনা ছড়ানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে ইরান। আবার, ইরানের নাম না নিলেও, হামলা হলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
দামেস্কে তেহরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের দুই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাসহ সাত সামরিক ব্যক্তি নিহত হয়।
সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। গাজায় অভিযান অব্যাহত রেখে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। অন্যান্য জায়গা থেকে চ্যালেঞ্জের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের ওপর হামলা হলে, পাল্টা হামলা করব’।
(ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এজে)