পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, হাতিরঝিলে ভাসছিল আরেক মরদেহ

রাজধানীর পল্লবীতে মোহাম্মদ পাভেল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার গভীর রাতে সাগুফতা মোড় সংলগ্ন (সেকশন-৯) স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার নির্মাণাধীন ১৭ নম্বর ভবনের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।
নিহতের শরীর ও মাথার বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন রয়েছে।
জানা গেছে, পাভেল বাড্ডায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আলোকদিয়া গ্রামে। বাবার নাম শাস্ত্র মিয়া।
পুলিশ ধারণা করছে, শত্রুতার জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। পরে নির্মাণাধীন ভবনের পেছনে থাকা ঝোপে ফেলে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানিয়েছেন, যুবকের পরিচয় মিলেছে। তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
পল্লবী থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, “সাগুফতা এলাকার কোনো এক নারী চিৎকার করলে তার মাধ্যমে জেনে কেউ থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা যায়নি।”
তিনি আরও বলেন, “পাভেল বাড্ডা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। পরিবারের লোকজন গ্রামে ঈদ করতে গেছেন। তিনি একাই ঢাকায় ছিলেন। তবে বাড্ডা এলাকা থেকে তিনি পল্লবী এলাকায় কেন গেলেন তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।”
এদিকে হাতিরঝিল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম ফয়েজ কাদের চৌধুরী।
স্থানীয়রা হাতিরঝিল লেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের পিতার নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী। ফয়েজ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার বাড়ি শাহজাহানপুর এলাকায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন।
তিনি জানান, রাত ১১টার দিকে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর সারারাত তার কোনো খোঁজ ছিল না। সকালে হাতিরঝিল এলাকায় মরদেহটি উদ্ধার করে তার পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ফয়েজ আত্মহত্যা করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এসএস/এফএ)

মন্তব্য করুন