নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন প্রকল্প

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৪ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার সকালে রাজধানীর পান্থপথে বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, “গত বছর যেসব জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে; যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানিপ্রবাহের নর্দমা ছিল, সেগুলো বন্ধ হয়ে যায় ২০০৯ সালে। এ জন্য দেখেছি গত বছর সেখানে বড় জলাবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানিপ্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রতিটি এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোথাও দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি, যাতে বর্ষার সময় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি।”

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “২০২০ সালের আগে অল্প বৃষ্টিতে ঢাকার ৭০ ভাগ প্লাবিত হতো, এখন সেটা কমে এসেছে। আমরা পানিপ্রবাহ ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বাহিনী প্রস্তুত রাখি, যাতে কোথাও পানি জমে থাকলে দ্রুত সরানো যায়। সেই হিসাবে আজ আমরা পান্থপথের বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কাজ শুরু করলাম।”

পান্থকুঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যান বলে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “এ উদ্যানের উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কারণে এর উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে আলোচনা ও দেন-দরবার করেছি। ফলে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে আমরা কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে উন্নয়ন কাজ চলছে। আমরা একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই ঢাকাবাসীকে।”

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এমএইচ/এফএ)