শেরপুরে বাস ভাড়া আদায়ে চলছে নৈরাজ্য 

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

ঈদের আট দিন পরও শেরপুরে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষ হয়েছে আজ আট দিন। কিন্তু ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলমান আছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী যাত্রী শহীদুল ইসলাম বলেন, ঈদের দুই দিন আগে থেকে ঢাকা-শেরপুরগামী সকল দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০-৯০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়। অপরদিকে ঈদ পার হয়েছে আজ আটদিন অথচ শেরপুর-ঢাকাগামীসহ অন্যান্য সকল সড়কে বাস ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হারেই নেয়া হচ্ছে। 
যাত্রী ইব্রাহীম হায়দার বলেন, বাস ভাড়া বৃদ্ধি নেওয়ার কারণে ভুক্তভোগী অনেকেই বাসের টিকিটসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। তারা লিখেছেন, এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব কেন? সহ নানা উক্তি।
যাত্রী আব্দুস সাকুর বলেন, শেরপুর চেম্বার অফ কমার্স, কালেক্টরেট, উইমেন চেম্বার, টেনিস ক্লাবসহ অন্য সকল শেরপুর-ঢাকা কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
শেরপুর হেল্পলাইন নামের ফেসবুক আইডিতে এক যাত্রী বাসের টিকিটের ছবি সহ লিখেন, এগুলো কি দেখার কেউ নেই? যেমন খুশি তেমন করে ভাড়া নিচ্ছে। দুই সিটের ভাড়া ১৬০০ টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এছাড়া আমাদের শেরপুর পেইজে বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের ছবিসহ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় নিয়ে লেখালেখি চলছে। 
এদিকে দূরপাল্লার বাস ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় চলাচলরত সিএনজি অটোরিকশায়ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। 
শ্রীবরদীর রানী শিমুল এলাকার হোসেন মাতব্বর বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শেরপুর-শ্রীবরদী, শেরপুর-নকলা, শেরপুর-ঝিনাইগাতী, শেরপুর-নালিতাবাড়ী এবং শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশার ৪০ টাকার ভাড়ার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। 
জেলা শহরের খোয়ারপাড় এলাকা থেকে ঝিনাইগাতীগামী যাত্রী আশরাফ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে অনেক যাত্রীর সাথে শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। 
এদিকে ভাড়া বৃদ্ধি নেওয়ার কথা স্বীকার করে শেরপুর চেম্বার-টু এর কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা বলেন, আমরা আর ২-১ দিন ভাড়া বেশি নিব এরপর আর নেওয়া হবে না। 
ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে শেরপুর জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দে সেন্টু বলেন, আমাদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোনো রকম ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে তারা ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন। এসব বিষয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত বলে তিনিও মনে করেন।
এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, ভাড়া বৃদ্ধি রোধে আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। সেই সাথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী মালিকদের কাছ থেকে যাত্রীদের ভাড়া ফেরত দিয়েছি। এছাড়া এ অভিযান এখনো চলছে বলে জানান তিনি। 
(ঢাকা টাইমস/১৮এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসএ)