ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ২৮ কর্মীকে বরখাস্ত করলো গুগল

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪০ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির প্রতিবাদে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ ইয়র্কে অফিসের বাইরে ১০ ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ২৮ জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল। খবর আনাদোলুর। 

ইসরায়েলের সঙ্গে ১.২ বিলিয়ন ক্লাউড চুক্তি- ‘প্রজেক্ট নিম্বাসের’ বিরুদ্ধে নো টেক ফর অ্যাপার্টহেড নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে মঙ্গলবার গুগলের দুই অফিসের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসুচি পালন করে কয়েকশ মানুষ।  

বুধবার এক এক্স পোস্টে নো টেক ফর অ্যাপার্টহেড বলেছে, ‘আজ সন্ধ্যায়, গুগল নির্বিচারে দুই ডজনেরও বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করেছে, তবে তাদের মধ্যে অনেকেই গতকালের ঐতিহাসিক, দ্বি-কোস্টাল ১০ ঘন্টার বিক্ষোভে সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি।’ 

গুগলের গ্লোবাল সিকিউরিটির প্রধান ক্রিস র‌্যাকও সমস্ত কর্মচারীদের কাছে পাঠানো একটি বিজ্ঞতিতে বিক্ষোভকারীদের আচরণের প্রতি কোম্পানির জিরো-টলারেন্স নীতির উপর জোর দিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের আচরণের কোন স্থান নেই এবং আমরা এটি সহ্য করব না। তদন্তের পরে, আজ আমরা জড়িত থাকার জন্য ২৮ জন কর্মচারীর চাকরি বাতিল করেছি। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনে আরও ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে নো টেক ফর অ্যাপাথেইড এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘প্রতিশোধের এই বর্ণাঢ্য কাজটি একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত যে গুগল গণহত্যাকারী ইসরায়েলি সরকার এবং সামরিক বাহিনীর সাথে তার বিলিয়ন ডলার চুক্তিকে তার নিজস্ব কর্মীদের চেয়ে বেশি মূল্য দেয়।

এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার সানিভেলে এবং নিউ ইয়র্কের অফিসের বিক্ষোভের সময় নয়জন কর্মচারীকে আটক করার কয়েক ঘন্টা পরে গুলি চালানোর ঘটনাটি কোম্পানির অভ্যন্তরে এবং এর বাইরেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

প্রজেক্ট নিম্বাস কী?

‘প্রজেক্ট নিম্বাস’ নামের এই প্রকল্পটি হচ্ছে গুগল ও অ্যামাজনের সঙ্গে ইসরায়েল সরকারের ১২০ কোটি ডলারের বিতর্কিত একটি চুক্তি। এরমাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও দেশটির সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রযুক্তি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।

২০২১ সালের এপ্রিলে ইসরায়েল এবং গুগল ও অ্যামাজনের মধ্যে এই চুক্তিটি হয়েছিল। 

সমালোচকরা যুক্তি দেন, এই প্রকল্পটি ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নিপীড়ন, আধিপত্য এবং বিচ্ছিন্নতার বর্ণবাদের মতো ব্যবস্থা চালিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এমআর)