কলাপাড়ায় বৈশাখি মেলায় লাকি কুপন বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশ | ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৩

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চলছে বৈশাখি মেলা। এ মেলাকে কেন্দ্র করে লাকি কুপন বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষকসহ জনপ্রতিনিধিরাও। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৭ দিনব্যাপী বৈশাখি মেলার প্রথম দিন থেকেই লাকি কুপন বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। আর এ কুপন কেনায় বাধ্য করা হচ্ছে অনেককে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী। এ ঘটনায় চাপা ক্ষোভও বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। বিষয়টি এখন টক অপ দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেলার খরচ জোগাতে ৫০ হাজার লাকি কুপন ছাপানো হয়েছে। প্রতিটি কুপনের মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা যায়, এবারের বৈশাখি মেলায় একাধিক স্টল ফাঁকা রয়েছে। অতিরিক্ত টাকা ধার্য করায় মেলায় স্টল নেয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। তবে গরমের তীব্রতা থাকায় সরবতের দোকানগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেসকল দোকান থেকেও প্রতিদিন আদায় করা হচ্ছে টাকা। এ টাকা প্রদান থেকে রেহাই পাচ্ছে না ছোট ছোট পান সিগারেটের দোকানদারও।

সরেজমিন জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে র‌্যাফেল ড্রয়ের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলার সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যদের কাছে চলে গেছে লাকি কুপনের বই। এ সকল কুপন ক্রয় করতে স্থানীয় সাধারণের উপর বাড়তি চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।  

মেলায় আগত একাধিক দর্শনার্থী জানান, এবারের মেলার আয়োজনটি খুব ভালো ছিল। তবে, উল্লেখযোগ্য শিল্পী না থাকায় এবং সেই সঙ্গে অনেকগুলো স্টল ফাঁকা থাকায় আয়োজনটি কিছুটা হলেও মলিন হয়েছে বলে জানান তারা।

এদিকে মেলার পান-সিগারেটের দোকানি শেফালী বেগম বলেন, মেলা উপলক্ষে বাড়তি কিছু আয়ের দোকান নিয়ে বসেছিলাম। আশানুরূপ বিক্রি না হলেও কমিটিকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পরিমাণ লাকি কুপন করা হয়েছে তা এলওর সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/প্রতিনিধি/পিএস)