খোলা হলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স, মিলল ২৭ বস্তা টাকা

প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫১

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
দান বাক্সে পাওয়া টাকা গণনা করা হচ্ছে (ছবি: সংগৃহীত)।

খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এ থেকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। শেখ খবর পাওয়া পর্যন্ত গণনা চলছে দাববাক্সে পাওয়া টাকা। ৯৮জন মাদরাসা ছাত্র, ৯জন শিক্ষক, ৭০জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০জন আনসার সদস্যসহ সর্বমোট ১১৭জন লোক গণনায় নিয়োজিত রয়েছেন।

আর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দানবাক্স গুলো খোলা হয়।

জানা যায়, পাঁচ মাস পর ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এসব টাকা মসজিদের মেঝেতে ঢেলে গণনা করা হচ্ছে। গণনা শেষে সন্ধ্যায় দানের পরিমাণ জানা যাবে। দানবাক্সে টাকা ছাড়াও স্বর্ণ, রুপা, রিয়েল, রিংগিত ও ডলার পাওয়া গেছে।

সূত্র মতে, প্রতি তিনমাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হলেও এবার রমজান মাসের কারণে পাঁচ মাস পর খোলা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। সে সময় ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এসব বস্তা থেকে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে গণনা শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টায়। গণনায় অংশ নেয় প্রায় ২০০ জনের একটি দল। টানা প্রায় ১৫ ঘন্টা গণনা শেষে টাকার পরিমাণ জানা যায়।

তখন গণনায় ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩০জন শিক্ষার্থী, ৬০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা, ১০ জন শিক্ষক এবং ১০ জন আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেছিলেন।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। আর সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষজন এখানে দান করে থাকেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতারণার বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান মসজিদটির খতিব মাওলানা আশারফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাগলা মসজিদের নাম ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্নভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/পিএস)