ঝিটকা-মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর: ঈদের ১০ দিন পরেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
প্রকাশ | ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা থেকে মানিকগঞ্জ এবং হেমায়েতপুর রুটের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ১০ দিন পার হলেও এখনো যাত্রীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
যাত্রী ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এবং হেমায়েতপুর পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। সিএনজি চালকদের নির্ধারিত ভাড়া ঝিটকা থেকে মানিকগঞ্জ ৬০ টাকা এবং হেমায়েতপুর ১৭০ টাকা।
শনিবার সকালে সরেজমিনে ঝিটকা বাজার স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঝিটকা থেকে মানিকগঞ্জের ভাড়া ৬০ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকা এবং হেমায়েতপুরের ভাড়া ১৭০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হলেও অন্য কোনো উপায় না থাকায় যেতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা।
কয়েকজন চালক বলেন, বেউথা সড়কে সড়কের কাজ চলছে। সেখানে ইটের খোয়া বিছানো হয়েছে৷ সেখান দিয়ে গেলে টায়ার বেশি ক্ষয় হয়। এছাড়া, অনেকে গিলন্ড হয়ে মেইন রোড দিয়ে যায়। তাই ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে৷ তবে, সেটা যাত্রীদের বলেই নেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি চালক বলেন, ‘বেউথা রাস্তায় খোয়া থাকার কারণে আমাদের ঘুরে যেতে হয় এর জন্যই মূলত আমরা ২০ টাকা বেশি নিচ্ছি।’
শরিফ নামের এক চালক বলেন, ‘আরও দুই-একদিন ৮০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হবে। তারপর ভাড়া আবার স্বাভাবিক হবে।’
মো. রাসেল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঝিটকা থেকে হেমায়েতপুরের নিয়মিত ভাড়া ১৭০ টাকা। আজ চালকরা ২০০ টাকা চাচ্ছে। অন্য কোনো উপায় না থাকায় তাই সিএনজিতেই যেতে বাধ্য। সিএনজি চালকরা যখন তখন নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে থাকে। দেখার কেউ নেই।’
এই রুটে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রী বলেন, ঝিটকা থেকে গাবতলী রুটে ভিলেজ লাইনের বাস চলাচল প্রায় বন্ধ। এজন্যই মানিকগঞ্জ বা ঢাকার যাত্রীদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। যার ফলে বিভিন্ন সময়ে নানা ছুতোয় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন চালকরা। এছাড়া, রাত হলেই মানিকগঞ্জ থেকে ঝিটকা যেতে নিয়মিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। ঝিটকা-মানিকগঞ্জ-গাবতলী রুটে দ্রুত বাস সার্ভিস চালুর দাবিও জানান তারা।
মুঠোফোনে ঝিটকা সিনএজি মালিক সমিতির সভাপতি ছোবাহান বলেন, ‘আমি সকালে স্ট্যান্ডে ছিলাম না। তাই সকালে কত ভাড়া নিয়েছে বলতে পারবো না। আমি এখন স্ট্যান্ডে এসেছি। এখন মানিকগঞ্জের ভাড়া ৬০ টাকা এবং হেমায়েতপুরের ভাড়া ১৭০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে।’
তবে, সরজমিনে পুনরায় আবারও স্ট্যান্ডে গেলে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের ভাড়া ৮০ এবং হেমায়েতপুরের ভাড়া ২০০ টাকা করেই নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নুর এ আলম বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। আমি এখনই পুলিশ পাঠাচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)