বুয়েটে রাজনীতি: হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৯ | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

মেহেদী হাসান, ঢাকা টাইমস

আদালতে রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বিষয়ক অফিস আদেশ স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

অবশ্য বুয়েটের অফিস আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পর থেকেই বুয়েট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এই বার্তা প্রদান করা হয়েছে।

তবে হাইকোর্টের এই রুলের পর থেকেই বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে জানাচ্ছিলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছে বুয়েট।’

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘অনেকের মধ্যে একটি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে, আমরা বুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার বাহিরে থাকতে চাচ্ছি। এটি আসলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতেই আমাদের অবশ্যই রেসপন্স করতে হবে এবং আমরা করব।’

সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকেও এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে অতিদ্রুত নতুন করে পরীক্ষার শিডিউল প্রদান এবং সেই জন্য প্রতিটি বিভাগের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠকের মাধ্যমে নতুন তারিখ নির্ধারণের কথাও বলা হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরীক্ষার তারিখ পুনঃনির্ধার ও আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা প্রদানের পরও কেন বুয়েটের একটি গোষ্ঠি সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের জন্য উস্কাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে কোন দাবির প্রক্ষিতে এখনো একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও জানেন না বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী। বুয়েটে এখনো ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, কেননা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পায়নি।

এ প্রসঙ্গে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনো ছাত্র রাজনীতি বুয়েটে নিষিদ্ধ। আমাদের ২০১৯ সালের অফিস আদেশ এখনো বলবৎ আছে, কেননা হাইকোর্টের রুলের কপি আমাদের কাছে আসেনি। এই কপি হাতে পেলেই আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবো। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি শুরু হয়ে যাচ্ছে বা কপি হাতে পেলেই শুরু হয়ে যাবে এমনটা নয়।’

(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এমএইচ/এসআইএস)