‘মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে নেমে পরিবহন চাদাঁবাজরা সরকারের আস্থাভাজন হতে চায়’

প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৬

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

পরিবহন সেক্টরে চাদাঁবাজী, ধান্দাবাজী জিইয়ে রেখে ফায়দা হাসিল করতে চায়, ধরনের কিছু শ্রমিকনেতা সরকারের আস্থাভাজন হওয়ার মানসে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

 

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, যুগ্ম-মহাসচিব এম. মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান এই অভিযোগ করেন।

 

বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রীরা কি সমালোচনার ঊর্ধ্বে? সরকারের দ্বায়িত্বে থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করা নাগরিক অধিকারের অংশ। গত ২০ এপ্রিল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতেঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ২০২৪প্রকাশকালে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছিলেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘসময়ের মন্ত্রী, টানা চতুর্থ মেয়াদে তাঁর দ্বায়িত্ব পালন শেষ হলে ইতিহাস কথা বলবে, টানা ২০ বছর তিনি দ্বায়িত্ব পালন করে সড়কে সম্পূর্ণ শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারেননি। একজন নাগরিক অধিকার কর্মী হিসেবে বা সাধারণ নাগরিক হিসেবে ধরনের সমালোচনা করার অধিকার কি আমাদের নেই?

 

মন্ত্রী বা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা ভুলক্রটি তুলে ধরাকে যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজেন, তারা তেলবাজি করে সরকারকে ভুলপথে পরিচালিত করতে চায় কি না, নানান মহলে এমন প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর সম্মানহানির অভিযোগে নগরীর শাহাবাগ থানায় জিডির বাদী কথিত শ্রমিকনেতা হানিফ খোকন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তিনি সরকারের আস্থাভাজন হওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সম্মানহানি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চান।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রী কল্যাণ সমিতি দীর্ঘদিন যাবত দেশের যাত্রী সাধারণের অধিকার, যাত্রী হয়রানি, ভাড়া নৈরাজ্য, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে নানা দাবি নিয়ে রাজপথে সোচ্চার। আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বা সরকারের পদত্যাগ নয়। বরং সরকারের পরিবহন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দ্বায়িত্বশীল করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা। এসব প্রতিষ্ঠানকে যাত্রী সাধারণের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে দ্বায়িত্বশীল সংবেদনশীল করা, সড়ক দুর্ঘটনা কাঙ্খিত মাত্রায় কমিয়ে আনার জন্য উদ্যোগী করা।

 

সংগঠনটির নেতারা বলেন, এসব কাজের মধ্যে দিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি ফুটে উঠলে মন্ত্রী সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে, সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। যেসব শ্রমিকনেতা এমন সমালোচনাকে মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মানহানি মনে করেন, তারা দল দেশের গণশত্রু। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে দল সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এমআই/কেএম)