সুন্দরবনের আগুন নেভেনি, আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৪, ২৩:৫৫ | আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ০০:৫৮

​​​​​​​বাগেরহাট (খুলনা) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় সুন্দরবনের গহীন অরণ্যে লাগা আগুন নেভাতে কাজ শুরু করতে পারেনি বনবিভাগ ও দমকল বাহিনী। ফলে রাত যত বাড়ছে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সন্ধ্যার আগেই প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গাজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে রবিবার সকালে শুরু করবে আগুন নেভানোর কাজ।

শনিবার দুপুরে স্থানীয় জেলেরা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনাঞ্চলে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রাথমিক চেষ্টা করলেও অগ্নিনির্বাপনের কাজ শুরু করা যায়নি। ফলে রাতভর জ্বলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাদের শেখ শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘বনের এক থেকে দেড় কিলোমিটার ইতোমধ্যে পুড়েছে। ফায়ার সার্ভিস এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি। সারারাত যদি এভাবে পুড়তে থাকে তাহলে কী অবস্থা হবে আল্লাহই জানেন। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যেন প্রচুর বৃষ্টি হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম। তবে বনের ওই অংশে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানাতে পারেননি তিনি।

নুরুল করিম বলেন, ‘শনিবার দুপুরে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখে বনকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বনকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বনের ওই এলাকায় কী ধরনের গাছপালা রয়েছে তাও এখন বলতে পারব না। বিস্তারিত জানাতে হলে সময় লাগবে।’

বন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান শনিবার বিকালে বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া বলেন, ‘আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। কমপক্ষে দুই কিলোমিটারজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।’

সন্ধ্যার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান বলেন, ‘বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ ও মোংলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট নিয়ে আমরবুনিয়া এলাকায় পৌঁছেছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যার কারণে আমরা এখন পর্যন্ত আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারিনি। সন্ধ্যা হওয়ায় আমরা ফিরে এসেছি। রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বনের মধ্যে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করব।

(ঢাকাটাইমস/০৪মে/প্রতিনিধি/এসআইএস)