আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যামামলা: আপিল শুনানি দ্রুত করতে আসামির আবেদন

গাজীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শ্রমিক নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় দ্রুত আপিল শুনানি করতে আবেদন করেছেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. আলী।
সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগে আসামি মো. আলীর পক্ষে তার আইনজীবী এ আবেদন করেন।
এসময় আসামির আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, তার মক্কেল ২২ বছর ধরে জেলে আছেন। আপিলটিও ২০১৬ সালের, বিষয়টি যেন শুনানি করে দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় দেন দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আল আমিন ও রতন ওরফে ছোট রতন নামের দুজন মারা যান। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জন কারাগারে আটক আছেন, নয়জন পলাতক।
২০১৬ সালের ১৫ জুন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাতজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন- মো. আলী, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া রতন, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর (১), আবু সালাম ওরফে সালাম ও মশিউর রহমান ওরফে মনু। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন, লোকমান ও দুলাল মিয়া।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ছয় আসামি হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দীপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ ও সোহাগ ওরফে সরু। যাবজ্জীবন বহাল রাখা হয় টিপু ও নুরুল আমিনের। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন মনির, রকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী ও জাহাঙ্গীর।
(ঢাকাটাইমস/০৬মে/এফএ)

মন্তব্য করুন