টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আসর খেলার রেকর্ড সাকিব-রোহিত শর্মার
প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ১১:২৫

২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ভারত। এরপর ২০০৯, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ ও ২০২২ সালে হয়েছে এই আসর। ২০২২ সাল পর্যন্ত সকল বিশ্বকাপে খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র দুইজন। যেখানে রয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান এবং ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আগামী মাসে এই দুই ক্রিকেটার খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয় সাকিব আল হাসানের। জাতীয় দলে নিজের যাত্রা শুরুর পর থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন সাকিব। ২০০৭ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যা তরুণ সাকিব আল হাসানও খেলেছেন। এরপর ২০০৯ বিশ্বকাপে খেলার পর ২০১০ সালে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন।
এরপর ২০১২, ২০১৪, ২০১৬, ২০২১ এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ দলেও ছিলেন তিনি। আর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা হয়েছে ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। এটাই যে সাকিবের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই নিশ্চিত। আটটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা সাকিব আল হাসান ৪৭ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারির তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন।
এদিকে সাকিবের মতো রোহিত শর্মাও সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০২২ সালে রোহিত ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। আর এবারও ভারতের নেতৃত্বে রয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ওপেনার। তবে একদিক থেকে সাকিবের চেয়ে এগিয়ে রোহিত। এই আটটি বিশ্বকাপে সাকিব খেলেছেন ৩৬টি ম্যাচ। আর রোহিত শর্মা খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ। শুধু সাকিবকেই পেছনে ফেলেননি রোহিত, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এটা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
আর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা মাহমুদউল্লাহ ২০২২ সাল বাদে সকল বিশ্বকাপে খেলেছেন। ২০২১ বিশ্বকাপে তো বাংলাদেশ দলের অধিনায়কও ছিলেন রিয়াদ। সেই মাহমুদউল্লাহ মাঝে এক বিশ্বকাপ পর আবারও বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নিয়েছেন।
ছয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন মাত্র দুইজন ক্রিকেটার। তারা হলেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। এছাড়াও সচল ক্রিকেটারদের মধ্যে পাঁচটি করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছেন— কেন উইলিয়ামসন, বিরাট কোহলি, জস বাটলার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/এনবিডব্লিউ)