ধামরাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ
প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৪, ২০:১৫
ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের সঙ্গুর এলাকায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনি জনসভায় গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল রোয়াইল ইউনিয়নের সঙ্গুর এলাকায় আমার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে তালা মেরেছে খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থকরা। বাইরের সকল পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। সেখানে আমার নির্বাচনি সভা ছিল। আমি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাচনি সভাস্থলে যাওয়া মাত্র খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থক আক্কাস ও মেসেরের নেতৃত্ব আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। আমি বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমার কর্মী সমর্থকদের শান্ত রাখার চেষ্টা করি। আমার নেতাকর্মীরা শান্ত থাকলেও আনারস প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আমার অন্তত ৪ জন কর্মী সমর্থককে আহত করেছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা এমপি সাহেবের দোহাই দিয়ে আমার নেতাকর্মীকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমি ইউএনওসহ থানায় অবিহিত করেছি। আমার জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় আমার নেতাকর্মীদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। তারা চাচ্ছে যেন একটা বিশৃঙ্খলা হয়। কিন্তু আমি আমার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।
এ বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার লোকজন ওদের লোকের ওপর হামলা করবে কেন? ওদের লোকজনই ৩০/৪০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে আমার লোকজনকে মারতে গেছে। সেখানে আমার লোকজন থামিয়েছে। আমাদের এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। কেউ যেন কারো সঙ্গে কথা কাটাকাটি না করে। আমার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খান মো. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫মে/প্রতিনিধি/পিএস)