মানিকগঞ্জে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় আটকদের একজন র্যাব কর্মকর্তা

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সুমন হাওলাদার নামের এক ব্যবসায়ীর শত ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে মোহাম্মদ শামীমুজ্জামান নামে র্যাবের একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম।
ওসি বলেন, আটককৃত শামীমুজ্জামান র্যাব-১ কার্যালয়ের ডিএডি হিসেবে কর্মরত আছেন। শনিবার রাতে তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে বাকি আসামিদের মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আরও দুজন পলাতক আছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত লুট হওয়া সোনা উদ্ধার করা যায়নি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুমন হাওলাদার ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ফরিদপুরের রাধানগরের নগরকান্দা গ্রামের মালেক শেখের ছেলে মিরাজুল শেখ (২৮), সোলেমান মৃধার ছেলে সম্রাট মৃধা (২৮), পাবনা জেলার আটঘড়িয়া থানার পাটেশ্বর গ্রামের মৃত ফরমান প্রামাণিকের ছেলে আমিজ উদ্দিন (৫২), ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার রঘুনন্দনপুর গ্রামের আহম্মদ শেখের ছেলে সিদ্দিক শেখ (৫০) ও নগরকান্দা উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের সুমন (১৯)।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসা এলাকায় র্যাব পরিচয়ে সুমন হালদার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর শত ভরি স্বর্ণ লুটে নেয় ডাকাত দল। এসময় ৫ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করে।
(ঢাকাটাইমস/০২জুন/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন