নির্ধারিত সময়ে যেতে না পারা কর্মীদের জন্য সময় বাড়াচ্ছে না মালয়েশিয়া

প্রকাশ | ০৫ জুন ২০২৪, ১৭:১২ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ১৮:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

প্রবাসী কর্মী প্রবেশের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকার সময় বাড়াচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাদের প্রবেশের বিষয় পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে না।

বুধবার ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান হাইকমিশনার।

হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি। একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিষয়টি বেঁধে দিয়েছিলাম, যা ৩১ মে ছিল। কারণ, আমরা ১৫টি উৎসদেশের জন্য এ সময়সীমা প্রয়োগের বিষয়ে অভিন্নতা নিশ্চিত করতে চাই। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, ১৫টি দেশের জন্য প্রযোজ্য।’

এসময় তিনি জানান প্রতিমন্ত্রী সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি কুয়ালালামপুরে এ বার্তা পৌঁছে দেবেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) অভিযোগ, মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত সময়সীমার পরও ২ জুন ই-ভিসা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা প্রমাণ ছাড়া কোনো অভিযোগ গ্রহণ করতে পারি না। এখন পর্যন্ত ভিসা ইস্যুকারী সংস্থাসহ পুরো মালয়েশিয়া সরকার কঠোরভাবে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে কাজ করছে।’

মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের চাকরি না পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাজনাহ মো. হাশিম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের সরকার দেখছে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’

বৈঠকে আলোচনা হওয়া বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হাইকমিশনার বলেন, তারা কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং কর্মীদের মঙ্গলের জন্য প্রক্রিয়ার উন্নতির প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন করেছেন।

এদিকে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, তারা মালয়েশিয়া সরকারকে সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, শ্রমিকেরা কেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারছেন না, তা তদন্ত কমিটি দেখবে। যাদের বিএমইটি কার্ড বা ই-ভিসা আছে, তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

(ঢাকা টাইমস/৫জুন/এলএম/ইএস)