কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানানোর সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৪, ০৮:৩০ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০৮:৩১

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারপট্টি এলাকায় পা রাখতেই দূর থেকে ভেসে আসছে হাতুড়িপেটা আর ধাতব বস্তু শান দেওয়ার একটানা শব্দ। কাছে যেতেই চোখে পড়ে ছোট গর্তে কয়লার তীক্ষ্ণ আগুনের ফুলকি। তাতে লৌহদণ্ড পুড়ে লাল-হলুদ রঙে গনগণে হয়ে উঠছে। তারপর লৌহপাতের ওপর নেমে আসছে একের পর এক হাতুড়ির আঘাত।
পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস বানানোর সরঞ্জাম তৈরিতে এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তৈরির পাশাপাশি শান দিচ্ছেন চাপাতি, দা, বটি, ছুরিসহ নানা রকম ধারালো সরঞ্জামে।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র।
কারিগররা বলছেন, দু-এক দিনের মধ্যে জমে উঠবে দা-ছুরি কেনাবেচা। তাই দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। ইতিমধ্যে টুকটাক ক্রেতা আসতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ কিছুটা কম দামে পেতে আগেভাগে এসব সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে রাখছেন।
কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের অন্য সময় কাজের চাপ তেমন বেশি থাকে না। কোরবানির ঈদের আগে সকাল থেকে গভীর রাত অবধি আগুনে পোড়ে লোহা, আর চলে হাতুড়ি পেটার কাজ। ক্রেতার আনাগোনায় সরগরম হয়ে ওঠে কামারের দোকান।
কাওরান বাজার কামারপট্টিতে চাপাতি ও চাকু কিনতে এসেছেন আব্দুর রহীম নামে এক ব্যক্তি। আলাপকালে ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ি থেকে এখানে আসছি চাপাতি ও চাকু কিনতে। ৭০০ টাকা দিয়ে চাপাতি কিনেছি। আগে দাম কম ছিল, এখন বাড়তি। আগে আড়াই শ থেকে তিন শ টাকা দিয়ে কিনতাম। কিন্তু এখন সাত শ টাকা দিয়ে কিনতে হলো।
আব্দুর রহীম ছাড়াও একাধিক ক্রেতার অভিযোগ, দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে বিক্রেতাদের দাবি, বর্তমানে বাজার দর এমনই। দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে না।
মো. রিয়াজ উদ্দিন নামে এক বিক্রেতা জানান, চাপাতি ভালোটা ৭৫০ টাকা, জবাই করার ছুরি বড়টা ১২০০ থেকে ১৭০০টাকা, ছোটটা সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেক বিক্রেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, আগে যেমন বেচাকেনা হতো এখনও তেমন বেচাকেনা শুরু হয় নাই। দেখি এখনও তিন-চার দিন সময় আছে। সামনে হয়তো ভালো বেচাকেনা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এমআই/ইএস)