ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান, গ্রেপ্তার ১০
প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২৪, ১৪:১৬ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১৪:১৯

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। অভিযানে ১০ জনকে বিপুল সংখ্যক টিকিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে কমলাপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফিরোজ কবির।
র্যাব বলছে, বেশ কিছু দুষ্কৃতকারী ও টিকেট কালোবাজারি চক্রের দৌরাত্মে স্বস্তিকর রেলভ্রমণের টিকিট সাধারণ জনগণের জন্য অস্বস্তি, চিন্তা ও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনলাইনে বা রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে টিকেট পাওয়া না গেলেও বেশি মূল্যে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কালোবাজারিরা বিভিন্ন কৌশলে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম সংগ্রহ করে অবৈধভাবে নিজেদের কাছে মজুদ রাখে। পরে কৌশলে সাধারণ যাত্রীদের কাছে দুই-তিন গুন বেশি দামে বিক্রি করে। টিকিটের এসব নৈরাজ্য বন্ধে অভিযান শুরু করে র্যাব। চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জন সক্রিয় সদস্যকে বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিটসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফিরোজ কবির জানান, রাজধানীর কমলাপুরে অভিযান চালিয়ে দেশব্যপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্য সোহেল রানা, মাহবুবুর রহমান, বকুল হোসেন, শিপন আহমেদ, মো. আরিফ, শাহাদাত হোসেন, মনির, শিপন চন্দ্র দাস, মনির আহমেদ, রাজা মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ট্রেনের বিপুল পরিমাণ টিকিট, ১০টি মোবাইল ফোন, সিমকার্ডসহ কালোবাজরির বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “কালোবাজারিরা সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে টিকিট কালোবাজারি করত। বিশেষ করে ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ বানিয়ে তারা এই কারসাজিতে জড়িত থাকে। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনের অসাধু কর্মচারী ও টিকেট কাউন্টারম্যানদের মাধ্যমে ২-৩ হাজার রেলওয়ের টিকেট কালোবাজির মাধ্যমে বিক্রি করত। তারা আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই অধিক সংখ্যক টিকিট সংগ্রহের জন্য পরিকল্পনা করছিল।”
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এসএস/এফএ)