পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীকে বাঁধায় ইউএনওর ক্ষমা প্রার্থনা, ১৫ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনিশিয়ানকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স। জেলা প্রশাসক ও জামালপুর পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে ইউএনও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকাল সাড়ে তিনটায় জামালপুর সার্কিট হাউসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক কর্মকর্তা ইউএনওর ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে ইউএনও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি স্টেশনে না থাকলেও নিজের দায় এড়াতে পারেন না জানিয়ে বৈঠকে নিজের ভুল শিকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
এদিকে কর্মচারীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
পল্লী বিদ্যুতের দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত ৩টার সময় উপজেলা পরিষদ এলাকার সকল দপ্তর ও বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আজ (শুক্রবার) বিকালে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার পর সন্ধ্যায় পুনরায় লাইন চালু করে দেওয়া হয়েছে।
অরপদিকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মিজানুর রহমান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ লাইন টেকনিশিয়ানকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার ঘটনায় তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা দোষী প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যাহার হওয়া আনসার সদস্যরা হলেন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, মো. খাইরুল ইসলাম ও রুপক সরকার।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনসার ব্যারাকে বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন টেকনিশিয়ান মো. ইকবাল হোসেনকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে আনসার সদস্যরা।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/পিএস)