চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২৪, ১৪:৫৯
চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতা রয়েছে, যা রাতারাতি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বুধবার রাজধানীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন হাজারীবাগ কোম্পানিঘাট ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন স্থানে ‘শহীদ শামসুননেছা আরজু মণি মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, “আমি কথা দিচ্ছি মায়ের নামে উৎসর্গ করা এই হাসপাতালে যা যা করা প্রয়োজন আমি সবকিছু করব। মা ও শিশুদের কল্যাণের জন্য যে হাসপাতালটা এখানে মা এবং শিশু দুইজনকেই আমাদের কেয়ার করতে হবে। এই হাসপাতালটিতে এসে আমি যেগুলো দেখলাম প্রসবের আগে যে চেকআপটা সেটা ভালোভাবেই করা হয়।”
ওই মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রের মহিলা ডাক্তারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি আপনাদেরকে একটা কথা বলি, বাংলাদেশে একটা জিনিস খুব কমন, মায়েদের ব্রেস্ট ক্যান্সার। মায়েদের যখন আপনারা দেখবেন তখন তাদের এই জিনিসটাও খেয়াল করবেন। তাদের ব্রেস্টে কোনো লাম্প আছে কিনা। আপনারা যদি এমন কোনো রোগী পান তাহলে আমাদের হাসপাতাল শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয়। সব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্রেস্ট স্ক্যানিং হয়। আপনারা সেখানে পাঠিয়ে দেন আমরা বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা করব।”
তিনি বলেন, “আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি, সারা জীবন আমি চিকিৎসা করেছি। আমার কাছে খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি সারাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যখন মায়েরা আসেন এই ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগ নিয়ে তখন তাদের আর কিছুই করার থাকে না। সুতরাং দ্রুত রোগ নির্ণয় করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
চিকিৎসা খাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন সংসদে যাই তখন বিভিন্ন সংসদ সদস্য আমাকে বলেন ডাক্তারের স্বল্পতা, এ স্বল্পতা, সে স্বল্পতা। আমি জানি দেশে চিকিৎসা খাতে অনেক স্বল্পতা আছে। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন সম্ভব না। আমাদের কিছুটা সময় দেন আমরা চেষ্টা করব মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে।”
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “আজকে যদি বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশটা স্বাধীন না করতো আমি সামন্ত লাল সেন কোনোদিনও মন্ত্রী হতে পারতাম না। সুতরাং আমি অকৃতজ্ঞ হতে চাই না আমি সেই পরিবারের জন্য যতোটুকু করার দরকার যা করার দরকার সবকিছু করব। আজকে এই হাসপাতালের সঙ্গে এমন একজন নারীর নাম জড়িত এই হাসপাতালের জন্য আমার যদি কিছু না করি তাহলে তার প্রতি অসম্মান করা হবে। তার প্রতি অসম্মান করা মানে স্বাধীনতার প্রতি অসম্মান করা হবে। আমি যদি এই হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করতে না পারি তাহলে আমি মনে করব স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এটা আমার ব্যর্থতা। সবকিছু আমি রাতারাতি পারব না। আস্তে আস্তে সব কিছু করা হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা স্বাস্থ্যখাতে চেষ্টা করব যে যতটুকু সম্ভব জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/এমআই/এফএ)