নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজির বিচার করায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঁদাবাজির বিচার করায় সুরুজ মিয়া নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন তার দুই ছেলেসহ চারজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার উত্তর কাশিপুরের আলীপাড়া এলাকায় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী সালু ও হীরা লোকজন নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতিও ছিলেন। তিনি পেশায় ইট বালু ব্যবসায়ী।
আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।
নিহতের স্বজনেরা জানান, সুরুজ মিয়ার অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা আছে। এই ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হীরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করেন। ওই ভবনের মালিক এলাকার বিষয়টি নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এটি নিয়ে সুরুজ মিয়া হিরা ও সালুকে শাসন করেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তে গেলে সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হীরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুরুজ মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করেন।
হামলার খবর পেয়ে সুরুজ মিয়ার ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করেন হামলাকারীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সুরুজ মিয়ার মাথা ও হাতসহ শরীরের বেশ কিছু স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ছাড়া রাজু, জনি, রাসেল ও শাকিলের হাতসহ শরীরে আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ফতুল্লা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া ঢাকা টাইমসকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/পিএস/কেএম)