সূর্যকুমার যাদবের দাবি পরিষ্কার ক্যাচ, কুশন নড়তে দেখেছেন পোলক
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭:২২
শ্বাসরুদ্ধকার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ১৭ বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে তীরে এসে তরী ডুবেছে প্রোটিয়াদের। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৬ বলে ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার করা প্রথম বলটাকে উড়িয়ে মারেন মিলার, যা লং অফ বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণভাবে লুফে নেন সূর্যকুমার। তাতে মিলারের বিদায়ের সঙ্গে জয়ের সমীকরণও কঠিন হয় প্রোটিয়াদের। গুরুত্বপূর্ণ এই ক্যাচ ঘিরে জন্ম নিয়েছে বিতর্কও।
বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমারের পা স্পর্শ করেছিল কি না তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন আছে, তেমনি বাউন্ডারি সরে গিয়েছিল কি না তা নিয়েও কথা বলেছেন অনেকেই। একাধিক বৈশ্বিক গণমাধ্যমের দাবি বাউন্ডারি লাইন খানিক পিছিয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী ছয় রান পাওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার।
কিন্তু এমন কিছু ঘটেনি বলেই মন্তব্য ফিল্ডার সুর্যকুমারের। নিজ দেশের গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রোহিত ভাই সাধারণত লং অনে দাঁড়ান না, তবে ওই মুহূর্তে ছিলেন। বল যখন আসছিল, তখন আমি তার দিকে তাকাই একবার, তিনিও আমার দিকেই তাকিয়েছিলেন। আমি দৌড়ালাম, লক্ষ্য ছিল বলটা ধরা। তিনি (রোহিত শর্মা) যদি কাছাকাছি থাকতেন আমি বল তার দিকে ঠেলে দিতাম। কিন্তু কাছাকাছি ছিলেন না তিনি। ওই চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডে যা হয়েছে, আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না।’
ক্যাচ কি ঠিকঠাক নিয়েছিলেন সূর্যকুমার? এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘বলটা যখন আমি ওপরের দিকে ঠেলে দিই আর ক্যাচটা নিই, আমি জানতাম দড়িতে আমার পা লাগেনি। আমি সেই সময় কেবল ওটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমি জানতাম, এটা পরিষ্কার একটা ক্যাচ।
অবশ্য সূর্যকুমারের বিশ্বাস, ছক্কা হলেও ভারতই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে ফিরত, ‘ওটার পর যেকোন কিছুই হতে পারত। যদি বলটা ছয়ই হতো, তাহলে সমীকরণ কী হতো? ৫ বলে ১০। আমরা হরত এরপরেও জিততাম, কিন্তু ব্যবধান আরও কমে আসতো।’
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট সূর্যকুমারের সেই ক্যাচ নিয়ে নানাজনের নানা মত। এবার সেই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শন পোলক। কিছুটা ব্যঙ্গ করে ক্যাচটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যাচটা ভালো ছিল। (বাউন্ডারির) কুশন অবশ্য নড়েছে। কিন্তু এটা ম্যাচেরই অংশ। সূর্যর এটা নিয়ে কিছু করার নেই। কুশনে তার পা পড়েনি। দারুণ দক্ষতা এটা।’
(ঢাকাটাইমস/০২ জুলাই/এনবিডব্লিউ)