মৌলভীবাজারে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
| আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৩ | প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৭:১৬

মৌলভীবাজারে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, শূন্যপদে নিয়োগের শর্ত লঙ্ঘন করে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একটি চক্র অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ সুপারিশ করেছেন।

ভুক্তভোগী এবং চাকরিবঞ্চিত কয়েকজন সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার সাতটি উপজেলায় ৯৩টি স্বাস্থ্য সহকারীর পদে নিয়োগের জন্য গত ৭ জুন জেলা সদরে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় গত ১১, ১২ ও ১৩ জুন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত ছিল, স্বাস্থ্য সহকারী পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট (পুরাতন) ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না পেলে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের শর্ত রাখা হয়।

অভিযোগ করা হচ্ছে, জেলার বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অসীম চক্রবর্তীকে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে নিয়োগ কমিটি। এতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নিয়োগবঞ্চিত রুবেল চন্দ্র দাস, সুমন চন্দ্র দাস, রুমী রানি দাস ও শ্যামলী দাস। এ ব্যাপারে তারা নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

পুরো জেলার নিয়োগে এমন আরও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে চলছে আলোচনা- সমালোচনা।

নিয়োগবঞ্চিত রুবেল চন্দ্র দাস, সুমন চন্দ্র দাস, রুমী রানি দাস ও শ্যামলী দাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘যিনি (অসীম) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তার বাড়ি গোবিন্দপুর, যা দাসেরবাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর (পুরাতন) ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ওই ওয়ার্ডে পদ খালি নেই। কিন্তু তিনি নাগরিক সনদে ১ নম্বর (পুরাতন) ওয়ার্ড উল্লেখ করে আমাদের ওয়ার্ডে ঢুকেছেন।’

তারা আরও লিখেন, ‘আমরা চারজন লিখিত পরীক্ষায় পাস করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আমাদের মধ্যে যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন।’ বিষয়টি তদন্তপূর্বক তাদের ওয়ার্ড থেকে মেধাক্রম অনুসারে নিয়োগের দাবি জানান তারা।

একটি সূত্র জানায়, এই অনিয়মের সঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোরকিপারসহ কয়েকজনের যোগসাজশ রয়েছে। তারা নিয়োগ চূড়ান্ত করার শর্তে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এতে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দীন মুর্শেদ নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নাকচ করেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগের জন্য মাত্র সুপারিশ করা হয়েছে। এখনো নিয়োগ চূড়ান্ত হয়নি। শর্তাবলি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট আসার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে তা খতিয়ে দেখা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :