তাড়াশে মাদরাসার সীমানা প্রাচীর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৪, ২১:২২
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির আওতায় তাড়াশ ফাজিল মাদরাসার গেটের পাশে ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী (ইট) ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. বাবুল আক্তারের যোগসাজসে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে থাকে মের্সাস হাসানা কন্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে নির্মাণ কাজ করে দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে তাড়াশ ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা কাজটি বন্ধ করে দেন।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপির আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বরাদ্দের তাড়াশ ফাজিল মাদরাসার ওয়াল নির্মাণ প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪ শত টাকা।
মাদরাসার শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে প্রাচীরের কাজ চলমান রয়েছে তাতে এত নিম্নমানের ইট (৩নং) ও খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে তা কল্পনাতীত। মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা নিম্নমানের কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজটি বন্ধ করেছেন।
এ বিষয়ে মেসার্স হাসানা কন্সট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিককে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাজ বন্ধের বিষয়ে তাড়াশ ফাজিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘কাজ ভালোভাবে করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসকে বলা হয়েছে। কিন্ত খারাপ ও নিম্মমানের কাজ হওয়ায় শিক্ষকরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছেন।’
কাজের তদারকি দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী বাবুল আক্তারের দাবি— কাজে কোনো ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে না। শিডিউল মোতাবেক মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। যদি অনিয়ম হয়, তাহলে নিম্মমানের সামগ্রী ফেরত পাঠানো হবে ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/প্রতিনিধি/এসআইএস)