হেভিওয়েট ফ্রান্স-স্পেনের ফাইনালে ওঠার লড়াই: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে
প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪৯ | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৫

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চার দল জায়গা করে নিয়েছে চলতি ইউরো কাপের সেমিফাইনালে। ফ্রান্স ও স্পেন এবং ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস শেষ চারে পরস্পরের প্রতিপক্ষ। চলতি এই আসরের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে টুর্নামেন্টের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় মাঠে গড়াবে দুই দলের ফাইনালে ওঠার ম্যাচটি।
চলমান ইউরোতে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্পেন। যৌথ সর্বোচ্চ (১১টি) গোল তাদের নামের পাশে। আলভারো মোরাতার দল গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও আলবেনিয়াকে হারায়। এরপর শেষ ষোলোতে জর্জিয়া ও কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানিকে বিদায় করে দেয় তারা।
ফ্রান্স সেমিতে এসেছে ওপেন প্লে থেকে কোনো গোল পাওয়া ছাড়াই। তাদের করা মাত্র ৩ গোলের একটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি উপহার দিয়েছে প্রতিপক্ষ। তবে রক্ষণ জমাট রেখে এবারের আসরে সবচেয়ে কম (একটি) গোল হজম করেছে তারা। কিলিয়ান এমবাপ্পের দল গ্রুপ পর্বে অস্ট্রিয়াকে হারালেও ড্র করে নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের সঙ্গে। আর শেষ ষোলোতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের পর টাইব্রেকারে গড়ানো কোয়ার্টারে পর্তুগাল ছিটকে দেয় তারা।
পরিসংখ্যানে স্পেন-ফ্রান্স লড়াই:
* আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর আগে মোট ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী স্পেন ও ফ্রান্স। সেখানে জয়ের পাল্লা ভারী স্প্যানিশদের পক্ষে। তাদের ১৬টি জয়ের বিপরীতে ফরাসিরা শেষ হাসি হেসেছে ১৩টি ম্যাচে। বাকি সাতটি লড়াই হয়েছে ড্র।
* গোলের বিবেচনায় আরও এগিয়ে স্পেন। এই ৩৬টি ম্যাচে লা রোহারা ৬৪টি গোল করেছে, ফরাসিরা জাল খুঁজে পেয়েছে ৩৯ বার।
* গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় (বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে) অবশ্য ফ্রান্সের সফলতার হার বেশি। পাঁচটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতেছে লে ব্লুরা, স্প্যানিশদের জয় কেবল একটি। বাকিটি শেষ হয়েছে সমতায়।
* চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ইউরোতে দুই দলের আগের তিনটি সাক্ষাতে যারা জিতেছে, তারাই শেষমেশ গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
১৯৮৪ সালের আসরের ফাইনালেই তাদেরকে লড়তে দেখা গিয়েছিল। স্পেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ফ্রান্স। এরপর ২০০০ সালে ইউরোপের ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি পুনরুদ্ধারের পথে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল ফরাসিরা।
স্প্যানিশরা ২০১২ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে কোয়ার্টারেই ২-০ গোলে জিতেছিল ফ্রান্সের বিপক্ষে।
* দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পেনের। ১৯২৯ সালে প্রীতি ম্যাচে ৮-১ গোলে ফ্রান্সকে বিধ্বস্ত করেছিল তারা।
দুই ফুটবল পরাশক্তির দ্বৈরথে সেরা একাদশ নিয়েই নামবে তারা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩-৩ ফরমেশনে দল নামাতে পারেন স্পেন কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তে। অন্যদিকে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশ্যম এমবাপ্পেদের নামাতে পারেন ৪-৩-১-২ ফরমেশনে।
স্পেনের সম্ভাব্য একাদশ: উনাই সিমোন, নাভাস, নাচো, লাপোর্তে, কুকুরেলা, ওলমো, রদ্রি, রুইজ, ইয়ামাল, মোরাতা, উইলিয়ামস। নিষিদ্ধ : কারভাহাল, নোরম্যান্ড।
ফ্রান্সের সম্ভাব্য একাদশ: ম্যাগনান, কুন্দে, সালিবা, উপামেকানো, হার্নান্দেজ, কান্তে, চুয়েমেনি, কামাভিঙ্গা, গ্রিজম্যান, মুয়ানি, এমবাপ্পে।
(ঢাকাটাইমস/০৯ জুলাই/এনবিডব্লিউ)